ডেনমার্কে মিউটেশন পরীক্ষা করার জন্য সব করোনা পজিটিভ পরীক্ষার বিশ্লেষণ করা শুরু হয়েছে। এর ফলে সেখানে করোনাভাইরাসের নতুন ধরণ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পাওয়া যাবে।
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র মাত্র ০.৩ শতাংশ পরীক্ষার সিকোয়েন্সিং করছে। তাই সেখানে এই নতুন ধরনের করোনাভাইরাসের বিস্তার সম্পর্কে পুরোপুরি অজ্ঞতা রয়েছে।
ডেনমার্কের বিজ্ঞানীরা বলেছেন: ব্রেক নষ্ট হয়ে খুব গতিতে চলমান একটি গাড়ির মতো করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ছড়িয়ে পড়ছে ভয়াবহ হারে। মহামারি নিয়ন্ত্রণে আনার যেসব নির্ধারিত পদ্ধতি রয়েছে সেসবে কোনোপ্রকারই প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে না সেটি।
করোনাভাইরাসের নতুন এই ধরনটি প্রথম দেখা গেছে যুক্তরাজ্যে। কঠোর লকডাউন সত্ত্বেও ডেনমার্কে সপ্তাহে ৭০ শতাংশ হারে বাড়ছে এই নতুন ভাইরাসের সংক্রমণ।
ডেনমার্কের রোগ পর্যবেক্ষণ ও স্বাস্থ্যনীতির পরামর্শ দেওয়া সরকারি এজেন্সি স্টেট সেরাম ইন্সটিটিউট এসব তথ্য জানিয়েছে।
স্টেট সেরাম ইন্সটিটিউটের বৈজ্ঞানিক পরিচালক টায়রা গ্রোভ বলেন: আমরা কিছু কিছু হাতিয়ার হারিয়ে ফেলছি যেগুলো এই মহামারি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর।
ডেনমার্কের জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেন: যদি ঠিকঠাক নজরে না রাখা হয় তাহলে আত্মবিশ্বাসের ভুল বার্তা যাবে।
স্টেট সেরাম ইন্সটিটিউটের সহ-নেতা কামিলা হলটেন মোল্লার বলেন: নতুন এই ধরন ছাড়া আমরা ভালো অবস্থানেই ছিলাম।
ডেনমার্কে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ছড়িয়ে পড়ছে। দেশটিতে এই ভাইরাসে মোট আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ১ লাখ ৯৩ হাজার মানুষ আর প্রাণ হারিয়েছে প্রায় ২ হাজার জন।