করোনায় মৃত্যু ১৫, শনাক্তের হার ৩১.৯৮

দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণের ৬৯১তম দিনে শেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ২৮৮ জন।

এই সময়ে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন আরও ১৫ হাজার ৮০৭ জন। শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ৯৮ শতাংশ। আগের দিন বুধবার শনাক্ত হয়েছিল ১৫ হাজার ৫২৭ জন। এখন পর্যন্ত মোট শনাক্ত হয়েছেন ১৭ লাখ ৪৭ হাজার ৩৩১ জন।

এর আগে গত ৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয়বারের মত এবং গত ২০ নভেম্বর দেশে প্রথমবারের মতো করোনায় মৃত্যুহীন দিন দেখে বাংলাদেশ। গত ৫ আগস্ট দেশে সর্বোচ্চ ২৬৪ জন রোগী মারা যায়। গত ২৮ জুলাই সর্বোচ্চ শনাক্ত হয় ১৬ হাজার ২৩০ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীরের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‍বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় (অ্যান্টিজেন টেস্টসহ) ৪৯ হাজার ৪২৫টি পরীক্ষায় ১৫ হাজার ৮০৭ জন এই ভাইরাসে শনাক্ত হয়েছেন। এই সময়ে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ৯৮ শতাংশ। তবে শুরু থেকে মোট পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ১৯ শতাংশ।

সরকারি ব্যবস্থাপনায় এখন পর্যন্ত ৮৩ লাখ ৮৩ হাজার ৯৮৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৩৯ লাখ ২৬ হাজার ৬৯০টি নমুনা। অর্থাৎ মোট পরীক্ষা করা হয়েছে এক কোটি ২৩ লাখ ১০ হাজার ৬৭৭টি নমুনা। এর মধ্যে শনাক্ত হয়েছেন ১৭ লাখ ৪৭ হাজার ৩৩১ জন। তাদের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ৩৭ জনসহ মোট ১৫ লাখ ৬১ হাজার ৪৩ জন সুস্থ হয়েছেন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১৫ জনের মধ্যে পাঁচজন পুরুষ ও ১০ জন নারী। তাদের হাসপাতালে (সরকারি আট, বেসরকারি সাত) মৃত্যু হয়েছে। তারা সহ মৃতের মোট সংখ্যা ২৮ হাজার ২৮৮ জন। মোট শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৬২ শতাংশ।

এখন পর্যন্ত সরকারি হাসপাতালে মারা গিয়েছেন ২৪ হাজার ১৭ জন, যার শতকরা হার ৮৪ দশমিক ৯০ শতাংশ। বেসরকারি হাসপাতালে মারা গিয়েছেন তিন হাজার ৪৫৯ জন, যার শতকরা হার ১২ দশমিক ২৩ শতাংশ। বাসায় ৭৭৮ জন মারা গিয়েছেন, যার শতকরা হার দুই দশমিক ৭৫। এছাড়াও মৃত অবস্থায় হাসপাতালে এসেছেন ৩৪ জন, যার শতকরা হার দশমিক ১২ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত ১৮ হাজার ৮০ জন পুরুষ মারা গেছেন যা মোট মৃত্যুর ৬৩ দশমিক ৯১ শতাংশ এবং ১০ হাজার ২০৮ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছেন যা মোট মৃত্যুর ৩৬ দশমিক নয় শতাংশ।

বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ১৫ জনের মধ্যে এগারো থেকে বিশ বয়সী একজন, একুশ থেকে ত্রিশ বয়সী একজন, ত্রিশোর্ধ্ব একজন, চল্লিশোর্ধ্ব দু’জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব চারজন, ষাটোর্ধ্ব তিনজন, সত্তরঊর্ধ্ব দু’জন ও নব্বইঊর্ধ্ব একজন। আর বিভাগওয়ারী হিসাবে ঢাকা বিভাগে আটজন, চট্টগ্রাম বিভাগে তিনজন, রাজশাহী বিভাগে দু’জন, বরিশাল বিভাগে একজন ও রংপুর বিভাগে একজন।

ওয়ার্ল্ডোমিটার্সের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত ৩৬ কোটি ৩৬ লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫৬ লাখ ৪৭ হাজারের বেশি মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ২৬ কোটি ৭৮ লাখের বেশি।

করোনাভাইরাসনতুন শনাক্তমৃতের সংখ্যাশনাক্তের সংখ্যাস্বাস্থ্য অধিদপ্তর