মাত্র ২০ মিনিটেই করোনাভাইরাস পরীক্ষার ফলাফল পাওয়া যাবে এমন এক পদ্ধতির পরীক্ষণ শুরু করেছে যুক্তরাজ্যের হ্যাম্পশায়ার।
প্রাথমিকভাবে বিভিন্ন বয়স, শ্রেণির ৪০০০ মানুষের উপর এই পরীক্ষা চালানো হবে।
ল্যাবরেটরিতে ব্যবহার ছাড়া সেখানকার অ্যাকসিডেন্ট ও জরুরি বিভাগের বেশ কিছু ডিপার্টমেন্টকে, জিপি করোনাভাইরাস পরীক্ষণ কেন্দ্র ও কেয়ার হাউজে এসব পরীক্ষা করতে দেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের ম্যানুফ্যাকচারার অপটিজেনের তৈরি কোভিড-১৯ এলএএমপি অ্যাসি টেস্টটি ক্লিনিকাল পরীক্ষায় খুব কার্যকর হিসেবেই দেখা গেছে।
এই পরীক্ষণে ফলাফলে দ্রুতই জানা যাবে যে উপসর্গবহনকারীর শরীরের ভাইরাসের উপস্থিতি আছে না নেই। তার মানে তারপরে তারা দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ মানতে পারবেন যে বাড়িতে থাকবেন নাকি কাজে ফিরবেন।
শুরুতে ৪০০০ মানুষের উপর এই পরীক্ষণ চালানো হবে। হ্যাম্পশায়ার হসপিটালের এনএইচএস ট্রাস্টের পরিচালনায় ছয় সপ্তাহে এই পরীক্ষণ চালানো হবে। প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মীরা কাজটি করবেন।
এনএইচএস ট্রাস্ট স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মিলে কোন কেয়ার হোমে আগে যাওয়া ও পরীক্ষা করা হবে তা নির্ধারণ করবেন।
হ্যাম্পশায়ারের হেলথ অ্যান্ড সোশ্যাল কেয়ার সেক্রেটারি ম্যাট হ্যানকক বলেন, এক জায়গায় দাঁড়িয়েই এই পরীক্ষণ সঠিক ফলাফল দিতে পারে। ফলে তাদের আইসোলেশনে নিতে হবে কিনা তা জানা যাবে। এর সুফল পাবে সারাদেশই। আর যাদের ফলাফল নেগেটিভ আসবে তারা আবার দ্রুত সমাজে ফেরত যাবে।
এর আগের চলমান পিসিআর পরীক্ষণের ফলাফল পেতে ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টার দরকার পড়তো। সেই অপেক্ষাটাও এতে করে কমে আসবে।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। পরে বিশ্বব্যাপী তা মহামারী রূপ ধারণ করে। বর্তমানে সারাবিশ্বে ৫২ লাখ মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত আর প্রাণ হারিয়েছে ৩ লাখের বেশি মানুষ।