করোনাভাইরাস: ভারত পাকিস্তানে প্রস্তুত হবে রেমডেসিভির

করোনা চিকিৎসায় ভারত-পাকিস্তানে রেমডেসিভির উৎপাদনের জন্য স্বাক্ষর করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি ওষুধ প্রস্তুতকারি প্রতিষ্ঠান। আর এগুলো করোনা চিকিৎসায় দক্ষিণ এশিয়াসহ বিশ্বের ১২৭ দেশে সরবরাহ করা হবে।

মঙ্গলবার মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারি প্রতিষ্ঠান গিলিয়েড সায়েন্সেস এ তথ্য জানায়।

প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ভারতের তিনটি, পাকিস্তানের একটি ও পেনসিলভেনিয়া একটি ওষুধ প্রস্তুতকারি প্রতিষ্ঠানকে রেমডেসিভির উৎপাদনের লাইসেন্স দেয়া হয়েছে। এই ৫ টি প্রতিষ্ঠান থেকে উৎপাদিত ওষুধ বিশ্বের ১২৭ টি দেশে সরবরাহ করা হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন করোনার জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসার জন্য এ মাসের প্রথম দিকে রেমডিসিভির ব্যবহারের অনুমোদন দেয়।

গিলিয়েড জানিয়েছে, এ সব প্রতিষ্ঠানকে স্বেচাসেবী ‘নন-এক্সক্লুসিভ’ লাইসেন্স দেয়া হয়েছে। শুধুমাত্র এটি করোনার চিকিৎসায় ব্যবহার করার প্রতিশ্রুতিতে এমন লাইসেন্স অনুমোদন করা হয়েছে। এই চুক্তির আওতায় ওই প্রতিষ্ঠানগুলোকে কারিগরি সহায়তা দেয়া হবে। ভারতীয় সংস্থাগুলো হল- সিপলা, হেটেরো ল্যাবস ও জুবিল্যান্ট লাইফ সায়েন্সেস।

এছাড়াও মার্কিন সংস্থাটি পাকিস্তান ভিত্তিক ফেরোজসন্স ল্যাবরেটরিজ এবং পেনসিলভেনিয়া ভিত্তিক মেলানকে এ ওষুধ প্রস্তুত করার অনুমতি দিয়েছে।

২০১০ সালেই রেমডেসিভির ওষুধ তৈরি করে গিলেড সায়েন্সে। ২০১৪ সালে আফ্রিকার ইবোলা মহামারি সংক্রমণ রুখতে কাজে এসেছিল এই ড্রাগ, আবার অনেক গবেষকের দাবি ছিল ইবোলার সংক্রমণ সেভাবে আটকাতে পারেনি রেমডেসিভির। কিন্তু রেমডেসিভির নিউক্লিওটাইড অ্যানালগ। আরএনএ ভাইরাসের প্রতিলিপি তৈরির ক্ষমতাকে নষ্ট করে দেয় এই অ্যান্টি-ভাইরাল ড্রাগ।

গবেষকরা বলছেন, ভাইরাস যতবেশি প্রতিলিপি বানিয়ে তার সংখ্যা বাড়াবে, ততটাই বেশিবার যে তার জিনের গঠনের বদল ঘটাবে। তাই প্রতিলিপি গঠন করা আটকাতে হবে।

গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানের প্রাণীদের একটি বাজার থেকে করোনাভাইরাস ছড়ায়। পরে এটি একে একে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে।

আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডওমিটারসের তথ্যানুযায়ী এ ভাইরাসটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৪৫ লাখ । আর এতে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন প্রায় ৩ লাখ।

করোনাভাইরাসভারত-পাকিস্তানরেমডেসিভির