করোনাভাইরাস: নতুন শনাক্ত ২৯৭৭, মৃত্যু ৩৯

দেশে কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের ১৫২তম দিনে গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৬৫৪ জনের দেহে করোনাভাইরাস এর উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ৩৯ জন মারা গেছেন। এসময়ে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৮৯০ জন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে এসব তথ্য জানান ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব প্রিভেন্টিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিনের (নিপসম) পরিচালক অধ্যাপক ডা. বায়জীদ খুরশীদ রিয়াজ।

তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ হাজার ১৮৯টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয়েছে ১২ হাজার ৭০৮টি। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ১২ লাখ ২৫ হাজার ১২৪টি। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ।

তিনি বলেন, নতুন নমুনা পরীক্ষায় আরও ২ হাজার ৯৭৭ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৪৯ হাজার ৬৫১ জন। মোট শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৩৮ শতাংশ। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ৩৯ জন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৩ হাজার ৩০৬-এ। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩২ শতাংশ।

ডা. বায়জীদ খুরশীদ আরও বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ২ হাজার ৭৪ জন। সবমিলিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ৪৩ হাজার ৮২৪ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫৭ দশমিক ৬১ শতাংশ।

মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ৩২ জন পুরুষ জন এবং ৭ জন নারী। এখন পর্যন্ত পুরুষ ২ হাজার ৬০৬ জন এবং নারী মৃত্যুবরণ করেছেন ৭০০ জন।

বিভাগ বিশ্লেষণে দেখা যায় মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৭ জন, খুলনা বিভাগে ৪ জন, রাজশাহী ৩ জন,  রংপুর বিভাগে ৩ জন এবং বরিশাল বিভাগে ২ জন, সিলেট বিভাগে ২ জন এবং ময়মনসিংহে ১ জন। ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন ৩০ জন এবং ৯ জন বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেছে।

নিপসম পরিচালক আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ৯৫৫ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৮ হাজার ৬৭৪ জন।  ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৭৩৬ জন, এখন পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৬৮৬ জন। এখন পর্যন্ত আইসোলেশন করা হয়েছে ৫৪ হাজার ৩৬০ জনকে।  প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টিন মিলে ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে ২ হাজার ৩৯৯ জন। এখন পর্যন্ত কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে এখন পর্যন্ত ৪ লাখ ৪৬ হাজার ৭৮ জনকে কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে। কোয়ারেন্টিন থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ছাড় পেয়েছেন ২ হাজার ৯১৯ জন, এখন পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন ৩ লাখ ৯৩ হাজার ২৪৮ জন ছাড় পেয়েছেন। বর্তমানে মোট কোয়ারেন্টিনে আছেন ৫২হাজার ৮৩০ জন।

চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২১৫টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৮৯ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৭ লাখ ১১ হাজারের বেশি মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ১ কোটি ২১ লাখের বেশি মানুষ।

করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে প্রথমে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। পরে বিভিন্ন মেয়াদে ছুটি বাড়িয়ে সর্বশেষ ৩০ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। দেশের ইতিহাসের দীর্ঘ এ ছুটির পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৩১ মে থেকে অফিস-আদালত খোলা হয়েছে। এছাড়াও স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে চালু হয়েছে গণপরিবহনও।

করোনাভাইরাসনতুন শনাক্তের সংখ্যানিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনসেমি লিডস্বাস্থ্য অধিদপ্তর