একদিকে একদল বিজ্ঞানী করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিস্কার নিয়ে দৌড়ের মধ্যে আছে। আরেকদল আছে কোটি কোটি মেডিক্যাল গ্রেড বোতল ও সিরিঞ্জ তৈরির দৌড়ে। বিশ্ববাসীর কাছে ভ্যাকসিন পৌঁছে দেয়ার কাজে যার দরকার পড়বে।
বেশিরভাগ জনগণের কাছে ভ্যাকসিন পৌছে দেয়ার কাজটি এত বিস্তৃত যে, আগামী ২ বছরে ফার্মাসিউটিক্যাল বোতলের প্রয়োজন বাড়বে ৫ থেকে ১০ শতাংশ। মেডিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি বলছে এখনই সেই ব্যাপারে প্রস্তুতি নিতে হবে, বাড়াতে হবে উৎপাদন। তবে সেটা কোনো দুর্গম চ্যালেঞ্জ নয়।
বিশ্বের অনেক অনেক সরকার ও ওষুধ কোম্পানিগুলো কয়েকশ মিলিয়ন ডলারের অর্ডার দিচ্ছেন বোতল ও সিরিঞ্জ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্টানগুলোকে তাদের উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য।
নিরাপদ ও কার্যকরভাবে করোনাভাইরাসকে আটকানোর ভ্যাকসিন তৈরির ল্যাবরেটরি স্টাডি এবং ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের দৌড়ের সঙ্গে তুলনা করলে এসব বেতল তৈরির কাজ নেহাতই বেরসিক, কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির লজিস্টিক অ্যান্ড সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্টের প্রফেসর আওয়ি ফেডেরগ্রুয়েন বলেন, ভ্যাকসিন’র বোতল ও ছিপি যখন আপনার কাছে থাকবে তখন তা খুবই তুচ্ছ, কিন্তু যদি না থাকে তাহলে সেটার গুরুত্ব বোঝা যাবে। যে কোনো একটির কমতি বেশ ভোগাবে।