করোনাকালেও অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় দেড় শতাধিক রোহিঙ্গা

সতর্ক অবস্থায় বিজিবি ও স্থানীয়রা

করোনাভাইরাস এ আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের জন্য কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ সীমান্তের ওপাড়ে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে দেড় শতাধিক রোহিঙ্গা অবস্থান নিয়েছে বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৮টা থেকে উখিয়ার পালংখালীর আঞ্জুমানপাড়া সীমান্ত পয়েন্টের ওপারে এবং টেকনাফের হোয়াইক্যয়ের ওপারে মিয়ানমার অভ্যন্তরে রোহিঙ্গারা অবস্থান নিয়েছে।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এসব রোহিঙ্গারা চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশে আসার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য স্থানীয়দের। এই খবরে সীমান্তের বাংলাদেশ অংশে মসজিদে মাইকিং করে স্থানীয়দের সর্তক থাকতে বলা হয়েছে।

এমন প্রেক্ষাপটে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা লোকজন নিয়ে সীমান্তে পাহারা বসিয়েছেন। সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বিজিবি সদস্যরাও। জোরদার করা হয়েছে সীমান্তে টহল।

কক্সবাজারের উখিয়ার পালংখালী আঞ্জুমানপাড়ার ইউপি সদস্য সুলতান আহমদ বলেন: বেশ কিছু রোহিঙ্গা সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাতে পারে এমন সংবাদ সীমান্তে দায়িত্বে থাকা একটি সরকারি সংস্থার পক্ষে রাতে তাদের অবহিত করা হয়। এমন খবরে এলাকায় বেশ কয়েকটি মসজিদে মাইকিং করে সর্তক করা হয়েছে।

জানা যায়, নবী হোসেন নামক রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত এসব রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে নিয়ে আসার চেষ্টা চালাচ্ছে।

আঞ্জুমানপাড়ার বাসিন্দা নুরুল হক বলেন: করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসার জন্য এপাড়ে ঢোকার চেষ্টা চালাচ্ছে রোহিঙ্গারা। আমরা তাদেরকে কোনভাবেই আমাদের দেশে প্রবেশ করতে দেব না।

কক্সবাজার ৩৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আলী হায়দার আজাদ আহমেদ জানান: সীমান্ত দিয়ে বেশকিছু রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় থাকার বিষয়টি শুনেছি। তবে আমি গত রাতে সীমান্ত এলাকায় গিয়ে এরকম কোন জমায়েত দেখিনি। এমনকি আমার কোন বিজিবি সদস্য এবং ওপাড়ে গণজমায়েত হতে দেখেনি কাউকে। তারপরও সীমান্ত এলাকার মানুষের কাছে শোনার পর সীমান্তে বিজিবি সদস্যদের সতর্ক রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন: নতুন করে কোন অবৈধ অনুপ্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। যাতে কোন রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করতে না পারে সেজন্য সবসময় সতর্ক রয়েছে বিজিবি সদস্যরা। সীমান্ত এলাকায় টহল জোরদার করা হয়েছে।

করোনাভাইরাসটেকনাফবিজিবিরোহিঙ্গা