করদাতাদের হয়রানি করলে ব্যবস্থা: এনবিআর চেয়ারম্যান

আয়কর মেলার মতো হয়রানিমুক্ত কর সেবা এখন থেকে আয়কর অফিসেও পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া। তবে যারা করদাতাদের হয়রানি করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

বুধবার রাজধানীর অফিসার্স ক্লাবে বৃহত্তর আয়কর ইউনিট (এলটিইউ)- এর আওতাধীন ২১টি প্রতিষ্ঠান এনবিআর চেয়ারম্যানের হাতে আয়করের পে-অর্ডার হস্তান্তর করেন। এ উপলক্ষে আয়কর মেলায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, করদাতারা আয়কর মেলাকে নির্ভরযোগ্য বলে মনে করেন। আপনারা আমাদের কর অফিসেও এমন নির্ভরযোগ্যভাবে ও বিশ্বস্ততার সঙ্গে কর দিতে পারবেন। যারা হয়রানি করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এনবিআর চেয়্যারম্যান বলেন, সামর্থ্যবানদের আয়কর প্রদান করা নৈতিক দায়িত্ব। দেশের উন্নয়নে বেশিরভাগই অভ্যন্তরীণ সম্পদ ব্যবহার করা হয়। আমাদের ডিজিপি প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশের উপরে, এটা ধরে রাখতে হলে কর ডিজিপি বাড়াতে হবে।

তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের কর জিডিপি ১০ থেকে ১১ শতাংশ। ২০২৫ সালে কর জিডিপি ১৫ শতাংশ এবং ২০৩০ সালে ২০ শতাংশ নিয়ে যেতে চাই। এজন্য সবার সহোযোগিতা প্রয়োজন।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ব্যাংক ও বিমার ২১টি প্রতিষ্ঠান ২৯৩ কোটি টাকার পে-অর্ডার এনবিআর চেয়ারম্যানের হাতে তুলে দেন।

অনুষ্ঠানে সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন উপস্থিত ছিলেন। তাকে পরিচয় করিয়ে দিয়ে এনবিআর চেয়্যারম্যান বলেন, বৃহত্তর আয়কর ইউনিটের সর্বোচ্চ করদাতা তিনি। এবার আবুল হোসেন ৩০ কোটি টাকা আয়কর দিয়েছেন।

এনবিআর চেয়্যারম্যান জানান, আজকে (বুধবার) মেলার শেষ দিন, মেলা চলবে রাত ৮টা পর্যন্ত। তবে যতক্ষণ করদাতারা থাকবেন ততক্ষণ তাদের সেবা দেয়া হবে। আমরা করের আওতা বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা নিচ্ছি। করদাতাদের উদ্বুদ্ধ করছি। মেলাও তারই একটি অংশ।

আয়কর মেলা আজ বুধবার শেষ হলেও ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত কর অঞ্চলে আয়কর রিটার্ন জমা দেয়া যাবে বলে জানান এনবিআর চেয়ারম্যান।

আয়করআয়কর মেলাএনবিআর