‘কবরীকে হারিয়ে ফেলার অনুভূতি বলে বোঝানো যাবে না’

শনিবার দুপুর ১টার দিকে বনানী কবরস্থানের সামনে কিংবদন্তী অভিনেত্রী ও মুক্তিযোদ্ধা সারাহ বেগম কবরীকে রাষ্ট্রীয়ভাবে গার্ড অব অনার দেয়া হয়। সেখানেই জানাজা শেষে হবে দাফন। 

গার্ড অব অনার দেয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন শিল্পী সমিতির সভাপতি ও অভিনেতা মিশা সওদাগর।

তিনি জানান, করোনার এই ভয়াবহ সময়ের মধ্যে অনেকেই আসতে চেয়েছিলেন, কিন্তু করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে তাদেরকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।

তিনি জানান, সিনিয়র অভিনেতাদের মধ্যে ফারুক সিঙ্গাপুরে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে, সোহেল রানা, ওয়াসিম, জাভেদ- তারাও অসুস্থ। তবে প্রত্যেকেই কবরীর আপডেট রাখছেন।

কবরীকে হারানোর অনুভূতির কথা বলতে গিয়ে শিল্পী সমিতির এই নেতা বলেন, আমাদের দেশের স্থপতি যেমন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তেমনি আমাদের বাংলা চলচ্চিত্রের স্থপতি হচ্ছেন রাজ্জাক-কবরী। রাজ্জাক ভাই আগেই চলে গেলেন, এবার কবরী আপাও গেলেন। তারা যে পথ আমাদের দেখিয়ে গেছেন সেই দেখানো পথে হেঁটে আজকে আমাদের পেশা হয়েছে, বাড়ি গাড়ি, অর্থ বিত্ত- সমস্ত কিছু তাদের উছিলায় হয়েছে। তাদের হারিয়ে ফেলার অনুভূতি বলে বোঝানো যাবে না।

তিনি রাজ্জাক ও কবরীর নামে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের নামকরণের দাবি জানিয়ে বলেন, এমন দিনে গণমাধ্যমের বরাতে আমি সরকারের কাছে একটি অনুরোধ করতে চাই, বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের নাম হওয়া উচিত ‘রাজ্জাক-কবরী আর্কাইভ’। শিল্পী সমিতি আরো ভালোভাবে সামনে এটা অ্যাপ্রোচ করবে।

করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে শুক্রবার রাত ১২টা ২০ মিনিটে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন কবরী। রাতে তার মরদেহ হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়।

হিমঘর থেকে শনিবার সকালে কবরীর মরদেহ মোহাম্মদপুর আল মারকাজুলে নিয়ে যাওয়া হয়।। সেখানে গোসল করানো শেষে তার মরদেহ শেষবারের মতো নিয়ে যাওয়া হয় গুলশান ২ নম্বর এলাকার লেক রোডের বাড়িতে। কিছুক্ষণ রাখার পর কবরীর মরদেহ দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে বনানী কবরস্থান এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। বনানী কবরস্থানে সমাহিত হবেন এই কিংবদন্তী।

ওয়াসিমকবরীজানাজাজাভেদদাফনমিশা সওদাগররাজ্জাক কবরীলিড বিনোদনসিনেমাসোহেল রানা