চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের পেকুয়া, সেখান থেকে চকরিয়া পর্যন্ত কয়েকদফা ধর্ষণের পরে কিশোরীকে চলন্ত গাড়ি থেকে ফেলে হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে বলে দাবি করেছে র্যাব-১৫। এঘটনায় জড়িত একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
শুক্রবার (৮ মে) বিকেলে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক উইং কমান্ডার আজিম আহমেদ।
উইং কমান্ডার আজিম আহমেদ জানান, চট্টগ্রাম থেকে আসা ওই কিশোরী পেকুয়া পর্যন্ত আসে। সেখান থেকে এক সিএনজি চালক তাকে চকরিয়া আনে। কিন্তু পুনরায় আবারো পেকুয়ার দিকে নিয়ে যায়। চলতিপথে একটি ব্রীজের সাইটে তাকে দুই সিএনজি চালক মিলে ধর্ষণ করে। এরপর তার সাথে কথা কাটাকাটি হলে তাকে চলন্ত গাড়ি থেকে ফেলে দেয়া হয়।
তিনি আরও জানান, ঘাতকরা নৃশংসভাবে তাকে হত্যা করেছে। বিপরীত দিক থেকে আসা চলন্ত গাড়ির সামনে কিশোরীকে ফেলে দেয় তারা। ওই গাড়ির ধাক্কায় তার মৃত্যু হয়। এঘটনায় জড়িত জয়নাল নামে এক সিএনজি চালককে আটক করা হয়েছে। অপরজনকে আটকে র্যাব-১৫ এর সদস্যরা অভিযান চালাচ্ছেন বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
গত ৬ মে বুধবার রাত সাড়ে ১০টায় কক্সবাজারের চকরিয়ার কোনাখালী ইউনিয়ন এলাকার বিশ্ব রোডে চলন্ত গাড়িতে হত্যা করে রাস্তায় লাশ ফেলে দেয়ার অভিযোগ উঠে। ঘটনার জন্য কিশোরীর ফুপু ও ফুপাতো ভাইকে দায়ী করেছিল নিহতের বাবা।