চলতি বিপিএলে আর একটিই ম্যাচ খেলতে পারবেন ডেভিড ওয়ার্নার। এরপরই চোটের চিকিৎসা করাতে অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশ্যে উড়াল দেবেন অজি তারকা। শেষের শুরুর আগে আরেকবার হাসলো তার ব্যাট। অধিনায়কের ফিফটিতে ৮ উইকেট হারিয়ে ঢাকা ডায়নামাইটসকে ১৫৯ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দিয়েছে সিলেট সিক্সার্স।
গ্যালারি ভরা দর্শকের সামনে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ঢাকা অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। আগের পাঁচ ম্যাচের স্কোয়াড থেকে এই প্রথম আফগান ওপেনার হযরতউল্লাহ জাজাই ও ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার কাইরেন পোলার্ডকে বাইরে রেখে দল সাজায় ঢাকা।
রংপুরের বিপক্ষে আগের ম্যাচে ওপেনিং জুটিতে ৭১ রান তুলেছিলেন লিটন দাস ও সাব্বির রহমান। এই ম্যাচে সিলেটের সংগ্রহে জুটিতে দুজনের অবদান থাকল ৩৮ রান। ১৪ বলে ২৭ করা লিটনকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে জুটি ভাঙ্গেন সাকিব। একই রানে দলকে বিপদে রেখে পরের ওভারে সাজঘরে ফেরেন ১১ রান করা সাব্বির।
স্বাগতিক দলের খেলা বলে ভরপুর থাকল স্টেডিয়ামের গ্যালারি। কিন্তু ভরা দর্শকের সামনে ৮৬ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে কাঁপাকাঁপি শুরু সিলেটের। বিপদে তখন ব্যাট হাতে এগিয়ে আসতে হল অধিনায়ককেই। রংপুরের পর ঢাকার বিপক্ষেও পেলেন ফিফটি।
উইকেটে যতক্ষণ ছিলেন, বিনোদন যুগিয়েছেন ওয়ার্নার। ৪৩ বলে ৬৩ রানের ইনিংসটিতে ৮ চারে সঙ্গে একটি ছয় যেমন মেরেছেন, উইকেটের আশেপাশে খোঁচা মেরে সিঙ্গেল নিয়ে সচল রেখেছেন রানের চাকাও। ফিফটি পাওয়ার পর কোমর দুলিয়ে নাচ দেখিয়ে বিনোদনও দিলেন দর্শকদেরও!
খুব বেশি করেননি কিন্তু জাকের আলির ১৮ বলে ২৫ রানও সিলেটকে সাহায্য করেছে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ গড়তে। ওয়ার্নারের সঙ্গে ৬৩ রানের জুটিতে তার অবদান কম নয়।
৪ ওভারে ৪২ রানে দিয়ে খরুচে হলেও ঢাকার সবচেয়ে সফল বোলার প্রথমবার খেলতে নামা অলরাউন্ডার অ্যান্ড্রু বির্চ। ৩৪ রান খরচ করে ২ উইকেট নিয়েছেন সাকিব।