জাতীয় শোক দিবসে জাতির জনক হারানোর বেদনায় পুরো জাতি যখন শোকে মুহ্যমান ঠিক তখনই ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের কয়েক শ’ গজ দূরে পাওয়া গেল সন্দেহজনক জঙ্গি আস্তানার খবর।
এরই মধ্যে পুলিশের মহাপরিদর্শক একেএম শহিদুল হক দাবি করেছেন, বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত ধানমন্ডি ৩২ নম্বরসহ শোক দিবসের কর্মসূচিতে সুপরিকল্পিতভাবে হামলার লক্ষ্যে ‘হোটেল ওলিও ইন্টারন্যাশনাল’র একটি কক্ষে জঙ্গিরা অবস্থান নেয়।
গোয়েন্দাদের তথ্য পেয়ে সোমবার রাত থেকেই ওই হোটেলটি ঘিরে রাখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। মঙ্গলবার সকালে ওই ভবনে শুরু হয় অভিযান। এরপর হোটেলের ভেতর থেকে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে ওই ভবনে থাকা একজন সন্দেহভাজন জঙ্গি নিহত হয়। এছাড়া পুরো এলাকার মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক।
অভিযান শুরুর আগে হোটেল ওলিও। জঙ্গি ৪র্থ তলার পূর্ব দিকের (বাম দিকে কর্নারে) রুমে ছিল। ওখানে সে আত্মঘাতি হয়। এই রুম থেকে শক্তিশালী বোমা উদ্ধার করা হয়।
মাত্র বোমা বিস্ফোরণ হলো। বাইরে থেকে গুলি থেমেছে। ভেতরে একজন আত্মঘাতি হয়েছে।
ঘটনাস্থলে আইজিপি।
ফায়ার ব্রিগেডের সহায়তা নিয়ে বাইরে থেকে হোটেলের ভেতর দেখা হচ্ছে। পাশেই আইজিপি, পুলিশ কমিশনাসহ অন্য পুলিশ কর্মকর্তা।
অপারেশনের ঠিক পরপরই বারান্দা থেকে রুমের ভেতর দেখছে সোয়াট সদস্যরা।
জঙ্গিদের ছোড়া গ্রেনেডের স্প্রিন্টার।
অভিযানস্থলে আইজিপির ব্রিফিং।
ছবি: মেহেদী মাসুদ এবং সাকিব উল ইসলাম।