পদ বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে যুবলীগের পদ হারিয়েছেন সংগঠনের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী।
রোববার রাতে গণভবনে যুবলীগ শীর্ষ নেতৃত্বর সঙ্গে বৈঠক শেষে ওমর ফারুক চৌধুরীকে অব্যাহতির সিদ্ধান্তের কথা জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘যুবলীগে অনিয়ম করেছেন, এমন নেতাদের সংগঠনের সকল কর্মকাণ্ড থেকে দূরে থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’
‘‘যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য চয়ন ইসলামকে আহ্বায়ক এবং বর্তমান সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদকে সদস্য সচিব করে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি করা হয়েছে। যুবলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সবাইকে এই কমিটির সদস্য করা হয়েছে। সেই সঙ্গে যুবলীগ করার সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৫৫ বছর নির্ধারিত হয়েছে।’’
আহ্বায়ক মনোনীত হওয়ার পর চয়ন ইসলাম বলেন, অল্প সময়ের জন্য পাওয়া এই দায়িত্বে সবার আগে একটা ভালো সম্মেলন করতে চাই এবং যুবলীগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন যতোটা হয়েছে তা পুনরুদ্ধার এ কাজ করতে চাই।
রাজধানীতে ক্যাসিনো পরিচালনা, টেন্ডারবাজী, অর্থের বিনিময়ে পদ দেওয়াসহ যুবলীগের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগের প্রেক্ষিতে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন থেকে ফিরে গত ২ অক্টোবর গণভবনে আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে দলের ২১তম জাতীয় কাউন্সিলের আগেই সম্মেলন করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
পরদিন আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে সহযোগী সংগঠনগুলোকে সম্মেলনের জন্য প্রস্তুতি নিতে চিঠি দেওয়া হয়।
গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তিন বছর পরপর যুবলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও সর্বশেষ ২০১২ সালের ১৪ জুলাই যুবলীগের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। ওই সম্মেলনে সভাপতি নির্বাচিত হন ওমর ফারুক চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন হারুনুর রশীদ।
আগামী ২৩ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে যুবলীগের ৭ম কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হবে।