নিজের দল জাতীয় পার্টিতে সাংগঠনিক দুর্বলতার কথা স্বীকার করে বিরোধীদলীয় নেতা এবং জাতীয় পার্টির সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম রওশন এরশাদ বলেছেন, এখন দল গোছানোই মূল কাজ। চ্যানেল আইকে তিনি বলেছেন, দলের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কোনও দূরত্ব নেই তার; দল দেখেন এরশাদ আর সংসদ দেখেন তিনি।
চ্যানেল আইকে তিনি বলেছেন, দলের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কোনও দূরত্ব নেই তার; দল দেখেন এরশাদ আর সংসদ দেখেন তিনি।
বিএনপিকে ছাড়া ২০১৪’র ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগ মুহূর্তে হঠাৎই বেঁকে বসেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। যদিও পরে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে থাকা অবস্থাতেই সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। ওই সময় দলের হাল ধরেছিলেন তার স্ত্রী দলের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম রওশন এরশাদ। বিরোধীদলীয় নেতাও হন তিনি। তবে বিরোধীদল হিসেবে জাতীয় পার্টির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকে।
বিএনপির মতো বড় দল সংসদের বাইরে থাকায় দল হিসেবে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগটিও কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয় তারা। প্রমাণ হয় সিটি নির্বাচনে দুই প্রার্থীর চরম ব্যর্থতা। বেগম রওশন এরশাদের চিন্তাও এখন দল গোছানো আর আগামী সংসদ নির্বাচন।
বিষয়টি স্বীকার করে রওশন বলেন, প্রত্যেকটি জায়গায় আমাদের জাতীয় পার্টির একটি ভোট ব্যাংক আছে। তবে রাজধানীতে ভোট ব্যাংক খুব একটি বেশি নেই। আমরা এবার এই বিষয়টি বুঝতে পেরেছি। তাই এখন আমরা চেষ্টা করছে সাংগঠনিকভাবে রাজনৈতিক কাঠামোটি ঢাকায় দাঁড় করাতে পারি।
আগামীতে যেন জাতীয় পার্টি ভালো ফলাফল করতে পারে সে লক্ষ্যে জাতীয় পার্টি সব জায়গায় প্রার্থী দেয়া হবে বলে মন্তব্য করেন রওশন এরশাদ।
সংসদে ভেতরে তাদের ভূমিকা নিয়ে যেমন বিতর্ক শোনা যায় তেমনি দলের ভেতরেও শোনা যায় চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সঙ্গে তার দূরত্বের কথা।
দলের চেয়ারম্যান এরশাদের সাথে তার কোনো সমস্যা নেই এমনটিই ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, আমাদের মাঝে কোনো দূরত্ব নেই। তিনি পার্টি দেখেন আর আমি সংসদ দেখি। এই দুই সমন্বয়ে জাতীয় পার্টি তাদের কাজ পরিচালনা করছেন।
সংসদে সাধারণ মানুষের মূল সমস্যাগুলোই তুলে ধরবেন বলে জানিয়েছেন বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ।