চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শেষ ষোলোর চার ম্যাচ বাকি এখনও। হবে সামনের সপ্তাহে। সেরা আটে পৌঁছাতে বার্সেলোনা, রিয়াল মাদ্রিদ, জুভেন্টাস, বায়ার্ন মিউনিখের মতো ক্লাবের জন্য অপেক্ষা করছে কঠিন পরীক্ষা। ম্যানসিটির বিপক্ষে মহাগুরুত্বপূর্ণ এমন এক ম্যাচেই কিনা অধিনায়ক সার্জিও রামোসকে পাবে না রিয়াল।
সেরার লড়াইয়ে লেইপজিগ, অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ, আটালান্টা ও পিএসজি কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট কেটেছে, চারটি দল ছিটকে গেছে। নকআউটের বাকি আট দলের সেরা ষোলোর দ্বিতীয় লেগ করোনা বিরতির কারণে মাঠে গড়ানো আটকে ছিল। ম্যাচগুলো হবে ৭ ও ৮ আগস্ট।
রিয়াল মাদ্রিদের মাঠে প্রথম লেগে ২-১ গোলে জিতে আছে ম্যানচেস্টার সিটি। গার্দিওলার দলের বিপক্ষে দ্বিতীয় লেগে খেলতে যাবে জিদানের শিষ্যরা। আসছে শনিবার রাতে ম্যানসিটির মাঠ ইতিহাদে সেই ম্যাচে থাকতে পারছেন না রামোস।
আসলে প্রথম লেগে ঘরের মাঠে লাল কার্ড দেখে যত বিপত্তি বাধিয়ে রেখেছেন রামোস। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ম্যাচের একেবারে শেষদিকে ৮৬ মিনিটে লাল কার্ডে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল অধিনায়ককে।
অথচ দুর্দান্ত ফর্মের রামোসকে খুব দরকার রিয়ালের। গোল আটকানো যার কাজ, সেই তিনি যে গোল করেও চলেছেন এ মৌসুমে। ডিফেন্ডারদের মধ্যে এক লা লিগা মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডটা নিয়ে লিগ শেষ করেছেন। শুধু যেনতেন এক রেকর্ড নয় এটি, এই শতকের মধ্যে তিনিই একমাত্র যিনি ডিফেন্ডার হয়েও ১১ গোল নিয়ে কোনো আসর শেষ করলেন।
দুই মৌসুম পর লা লিগা টাইটেল জেতা রিয়ালের জার্সিতে সদ্যগত মৌসুমে গোলের দুঅঙ্ক ছোঁয়া রামোস কোথায় আছেন তা বোঝা যাবে সতীর্থ করিম বেনজেমার দিকে তাকালেই। শিরোপার পথে ফরাসি ফরোয়ার্ড ২১ গোল করেছেন। মৌসুমে সর্বোচ্চ ২৫ গোল যেখানে বার্সা দলপতি লিওনেল মেসির। করোনা বিরতি কাটিয়ে গত জুনে লিগ ফেরা আর শেষের পর মেসির সমান সর্বোচ্চ ৬ গোল করেছেন রামোস।