এবার নির্বাচনের মাঠে মাশরাফী

সিলেট থেকে: সারাদেশে বইছে নির্বাচনী হাওয়া। প্রচারণার কাজেও নেমে গেছেন প্রার্থীরা, যার যার আসনে করছেন জনসংযোগ। চাইছেন ভোট। ব্যতিক্রম কেবল মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। নড়াইল-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হয়েও ক্রিকেট মাঠের লড়াইয়ে থাকায় সশরীরে এখনও নামতে পারেননি ভোটের ময়দানে।

উইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে মিশন শেষ করে টি-টুয়েন্টি দলকে শুভকামনা জানিয়ে ক্রিকেট থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিরতি নিচ্ছেন মাশরাফী। আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যেই নেমে পড়বেন নির্বাচনী প্রচারণায়।

রাজনীতি ও ক্রিকেট একসঙ্গে এগিয়ে নিতে পারবেন তো মাশরাফী? সংশয়ের খচখচানি দূর করে দিয়েছেন দারুণ বোলিংয়ে, অসাধারণ নেতৃত্বেও। শুক্রবার শেষ হওয়া তিন ম্যাচ সিরিজের সর্বোচ্চ উইকেট(৬টি) শিকারিও যখন নড়াইল এক্সপ্রেস খ্যাত এ মহাতারকা, তখন মনে হতেই পারে সংসদ সদস্য হলেও ক্রিকেটে চালিয়ে যেতে পারবেন মাশরাফী।

নির্বাচনী ডামোডালের মধ্যেই খেলায় পূর্ণ মনোযোগ রেখেছেন মাশরাফী। সে কারণেই সফলও হয়েছেন বলে জানালেন, ‘আমি নিজের কাছে পরিষ্কার ছিলাম এবং মনোযোগী ছিলাম যে, আমার আগে কাজ(উইন্ডিজ সিরিজ) ছিল এটি। আগে এটি শেষ করেই অন্য কাজ(নির্বাচনী প্রচারণা) করব। আর দশটা সিরিজের মতোই মনোযোগী ছিলাম। টি-টুয়েন্টির জন্য দলকে শুভকামনা জানাই। এখন আমি আমার কাজ(নির্বাচনী প্রচারণা) করবো।’

রাজনীতিতে নাম লেখানোর পর মাশরাফী মিরপুরে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওয়ানডে সিরিজ শুরুর আগে। তাকে ঘিরে উচ্চকিত হওয়া নানা প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন। কেনো রাজনীতিতে এলেন সেটি নিয়ে কথা বলেছেন বিস্তর। সিরিজের ভেতর যেন রাজনীতি, নির্বাচন প্রসঙ্গ না আসে সেই অনুরোধও করে রাখেন তখনই।

ক্রিকেট মাঠে মনোযোগ-সফলতার পেছনে এটিকেও অনেক কারণের একটি হিসেবে অভিহিত করলেন টাইগার অধিনায়ক, ‘আমার কাজ এরপর যেটি, সেটি(নির্বাচন) করবো। আপনাদেরকেও ধন্যবাদ যে এই আট-দশ দিনের ভেতরে এইসব নিয়ে কথা তোলেননি। এটা আমাকে অনেক সাহায্য করেছে(ক্রিকেটে মনোযোগ ধরে রাখতে)।’

মাশরাফীলিড স্পোর্টস