দুর্নীতির ক্ষেত্রে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কর্তৃক এজাহার গ্রহণের বিধি কেন বাতিল ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।
রিটের বিবাদী আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, সংসদ সচিবালয়ের সচিব, দুদক চেয়ারম্যান, পুলিশের আইজি ও দুদক সচিবকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আব্দুল কাইউম খান ও আইনজীবী মমতাজ পারভীন। আর দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।
এর আগে দুদকের সংশোধিত বিধিমালা ২০১৯ এর বিধি ২০১৯ এর ১(২), (ঘঘ) ও ৪ কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুবীর নন্দী দাস ও ব্যারিস্টার নওশীন নাওয়াল।
রিটের পর অ্যাডভোকেট সুবীর নন্দী দাস চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন: ‘ফৌজদারি কার্যবিধির ১৫৪ ধারা অনুযায়ী কোনো ব্যক্তির অভিযোগ থানা রেকর্ড করতে বাধ্য। কিন্তু দুদকের ওই বিধিামালার কারণে এখন আর থানা দুর্নীতি সংক্রান্ত বিষয়ে সরাসরি মামলা রেকর্ড করতে পারে না। থানা কেবলমাত্র জিডি হিসেবে তা গ্রহণ করতে পারে। কিন্তু দুদক পারে এজাহার দায়ের করতে, যা আইন ও সংবিধান পরিপন্থী।
অতএব বলা যায়, দুদকের সংশোধিত বিধিমালা ২০১৯ এর ১(২)(ঘঘ) ও ৪ নম্বর বিধি সংবিধানের ৩১ অনুচ্ছেদ সাথে সাংঘর্ষিক এবং ফৌজদারি কার্যবিধির ১৫৪ ধারার পরিপন্থী। তাই বিধিগুলো চ্যালেঞ্জ করে এ রিট করা হয়।’