স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের পতনের পর অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়েছিল জাতীয় পার্টি। এরপর দলটিকে নিয়ে আওয়ামী লীগ-বিএনপির টানাটানি আর শেষমেশ আওয়ামী লীগের ওপর ভর করে এতদিন টিকে ছিল এরশাদের জাতীয় পার্টি। তবে এই সময়ে বারবার ভেঙেছে দলটি। ব্র্যাকেটবন্দী হয়ে জাতীয় পার্টি তবু টিকেছিল মূলত এরশাদের নামে। যতদিন জীবিত ছিলেন এরশাদ, ততদিন ছিলেন ক্ষমতাকাঠামোর কাছাকাছি ক্ষমতার অংশ হয়ে। জাতীয় সংসদের বিরোধীদল পরিচয়ে তার দল; একবার নয়, সেটা দুই-দুইবার।
সারাদেশে বড়ধরনের কোন সাংগঠনিক শক্তি না থাকা সত্ত্বেও এরশাদের জীবদ্দশায় জাতীয় পার্টি একাধিকবার ভেঙেছে। ব্র্যাকেটবন্দী জাতীয় পার্টিগুলোর কোনো অংশ আওয়ামী লীগের জোটে গিয়ে মিশেছে, কোনো অংশ গিয়ে ভিড়েছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটে। ওই ভগ্নাংশগুলো নামসর্বস্ব হলেও তাদের কারো কারো ছিল আবার রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) নেওয়া নিবন্ধন। কেউবা আবার ইসির নিবন্ধন না নিয়েও করে গেছে প্যাডসর্বস্ব রাজনীতি, বিশেষত রাজনৈতিক জোটের অংশ হয়ে। তবু এতসবের বাইরে এরশাদ নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টিই ছিল মূলত কেন্দ্র। এরশাদের বিতর্কিত-হাস্যকর এবং মিউজিক্যাল চেয়ার খেলাধর্মী রাজনীতি তাকে এতদিন টিকিয়ে রেখেছিল, আলোচনায় রেখেছিল। সকাল-দুপুর-সন্ধ্যায় বারবার রাজনৈতিক মত, সিদ্ধান্ত ও অবস্থান বদলের এই রাজনীতি বিভিন্ন মহলে আলোচনা ও ঠাট্টার খোরাক হলেও মূলত এই কৌশলেই দলটিকে টিকিয়ে রেখেছিলেন সদ্য প্রয়াত সাবেক এই স্বৈরশাসক। তার মৃত্যুর পর সেটা এখন প্রমাণের অপেক্ষায়।
জীবদ্দশায় এরশাদ দল ও তার দলের অবস্থান নিয়ে বারবার অবস্থান বদল করেছেন। সেটা তার অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত হোক, জাতীয় রাজনীতি হোক- সকল ক্ষেত্রেই। তার যেকোনো সিদ্ধান্তের মেয়াদ ঠিক কতদিন বা কত ঘণ্টার হতো সেটা নিয়েও সন্দেহ ছিল। এ নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়লেও কখনও চরিত্রবদলের চেষ্টায় যাননি তিনি। ওইসময়ে এর প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান না হলেও তার মৃত্যুর পর মনে হচ্ছে আদতে সেটা ছিল তার নিজের দলকে টিকিয়ে রাখার কৌশল।
আরেক সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানের দেখানো পথ ধরে জোরপূর্বক ক্ষমতা দখলের পর এরশাদ তার পূর্বসূরির মত ক্ষমতায় থেকেই রাজনৈতিক দল গঠন করেছেন। ক্ষমতায় আকৃষ্ট একদল সুবিধাভোগী স্বভাবতই তার দলে ভিড়েছিল। পাকিস্তানপন্থি ও একদল সুবিধাভোগীর পুনর্বাসন কেন্দ্র ছিল জাতীয় পার্টি। ফলে ক্ষমতা হারানোর পর অনেকেই দেশত্যাগ করেছিল, আবার কেউ কেউ ভিড়েছিল অন্যদলগুলোর নীড়ে। এরশাদ জানতেন হয়ত তার দলে থাকা বেশিরভাগই রাজনীতিবিদ নন। সাবেক আমলা, প্রতিক্রিয়াশীল, পাকিস্তানপন্থি ও সুবিধাবাদিদের যে নীড় গড়েছিলেন তিনি সেটা জানা ছিল তার। চতুর এরশাদ তাই চাতুর্যের প্রয়োগ করেছেন; দল ও দলের বাইরের সকলকেই সন্তুষ্ট রাখতে চেয়েছেন। এক্ষেত্রে ছিল তার সাফল্য, যার প্রমাণ রীতিমত শূন্য থেকেই জাতীয় সংসদের বিরোধী দল হওয়ার মত অর্জন।
এরশাদের এই সুযোগ মূলত আওয়ামী লীগের দেওয়া। তবে তিনি সেই ক্ষেত্র উপস্থাপন করেছেন। আওয়ামী লীগের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপিকে কোণঠাসা ও দুর্বল করতে দলটির তুলনামূলক একটা শক্ত রাজনৈতিক দলের দরকার ছিল। এমন অবস্থায় এরশাদ নিজেকে উপস্থাপন করেছেন। পতন-পরবর্তী ক্ষমতা হারিয়ে কারাগারে থাকা এরশাদ একাধিক আসনে নির্বাচিত এবং বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলে তার দলের জনসমর্থনের ব্যাপারটিকে রাজনৈতিক দরকষাকষির বাজারে উপস্থাপন করে নিজের আখের গুছিয়ে নিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা থাকলেও থেকেছেন জেলের বাইরে। দশম সংসদ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটে যোগ দিয়ে তিনি নিজের দলকে বিলুপ্তি থেকে প্রাথমিক অবস্থায় রক্ষা করেন। এরপর ২০১৪ সালের নির্বাচন বিএনপি বর্জন করলে তার দল হয়ে যায় সংসদের বিরোধীদল। এরপর তিনি মন্ত্রীর পদমর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর ‘বিশেষ দূত’ হন, তার স্ত্রী হন সংসদের বিরোধীদলীয় নেত্রী এবং দলের একাধিক সাংসদ জায়গা পান মন্ত্রিসভায়। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির ভরাডুবির সুযোগে এরশাদের দল ফের সংসদের বিরোধীদল। এরপর তিনি সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা হন। এরপর বার্ধক্যজনিত রোগে গত ১৪ জুলাই মারা যান সাবেক এই স্বৈরশাসক।
জীবদ্দশায় এরশাদ তার দল নিয়ে একেক সময় একেক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তার বক্তব্য ও বিবৃতিগুলোর মেয়াদ ঠিক কতদিন বা ঘণ্টার এনিয়েও ছিল আলোচনা। দলের মহাসচিব নির্বাচন থেকে শুরু করে কো-চেয়ারম্যান নির্বাচন সবকিছুতেই তিনি তার কোন সিদ্ধান্তে অনড় থাকতে পারতেন না। দলের মধ্যে তার স্ত্রী রওশন এরশাদ ও ভাই গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদেরের দ্বন্দ্ব ছিল প্রকাশ্য। এই দ্বন্দ্বে তিনি একেক সময়ে একেক দিকে ঝুঁকেছেন, আবার মত বদলও করেছেন। ২০১৬ সালের ১৭ জানুয়ারি রংপুরে জাতীয় পার্টির কর্মী-সম্মেলনে এরশাদ তার ছোট ভাই জিএম কাদেরকে কো-চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দিলে রওশন এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন। পরে রওশন এরশাদকে সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান করেন এরশাদ। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনের পর সংসদে বিরোধী দলের উপনেতা হিসেবে কাদেরকে বেছে নেন এরশাদ। এ বছরের জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে গুরুতর অসুস্থ হয়ে সিঙ্গাপুর যাওয়ার আগে ছোট ভাই জিএম কাদেরকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেন। এর মাস দুয়েক ঘুরতে না ঘুরতেই গত ২২ মার্চ পার্টির কো-চেয়ারম্যান পদ থেকে জিএম কাদেরকে সরিয়ে দেন। পরে গত ৪ মে মধ্যরাতে সাংবাদিকদের ডেকে এরশাদ জানান, তার ভাই জিএম কাদেরকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন।
১৪ জুলাই এরশাদ মারা যান। মৃত্যুর ৪ দিন পর ১৮ জুলাই এক সংবাদ সম্মেলনে জিএম কাদেরকে জাপার চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা দেন দলের মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা। এরপর ২৩ জুলাই জিএম কাদেরকে চেয়ারম্যান হিসেবে মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বিবৃতি দেন রওশন এরশাদসহ দলের ৭ জন সাংসদ ও ২ জন প্রেসিডিয়াম সদস্য। এরপর এরশাদের চেহলাম উপলক্ষে কয়েকটি মিলাদ মাহফিলে একসঙ্গে দেখা যায় রওশন এরশাদ ও জিএম কাদেরকে। এ নিয়ে কেউ কোন কথা না বললেও এই সেপ্টেম্বরে এসে ফের প্রকাশ্যে আসেন রওশনপন্থিরা। শুরুটা হয় জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেতার দায়িত্ব সম্পর্কে স্পিকারকে দেওয়া চিঠি নিয়ে। জিএম কাদের বিরোধীদলীয় নেতা হবেন গত ৪ সেপ্টেম্বর এমন চিঠি যায় স্পিকারের কাছে, এরপর রওশন এরশাদ এই দায়িত্ব নেবেন- পালটা চিঠি পান স্পিকার। কাদেরের চিঠিতে সাক্ষর করে দলটির ১৫ সাংসদ। ৫ সেপ্টেম্বর রওশন এরশাদকে চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। পাশাপাশি রওশন এরশাদকে চেয়ারম্যান দাবি করে নির্বাচন কমিশনেও একটি চিঠি পাঠানো হয়। ৬ সেপ্টেম্বর বনানীর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ। ওই সংবাদ সম্মেলনে গঠনতন্ত্র অনুযায়ি জিএম কাদের দলটির চেয়ারম্যান এমনই দাবি করা হয়।
এরশাদের জীবিত অবস্থায়ই জাতীয় পার্টি দুইধারায় বিভক্ত ছিল। একটি এরশাদপন্থী, অন্যটি রওশনপন্থী। এরশাদের মৃত্যুর পর তার অনুসারীরা জিএম কাদেরপন্থী নামে পরিচিতি পান। রওশনপন্থী একটা ধারা জাতীয় পার্টিতে সবসময় বিদ্যমান থাকলেও এরশাদের কারণেই মূলত বড় ধরনের দ্বন্দ্ব প্রকাশ হয়নি। তবে সেই ১৯৮৬ সালের ক্ষমতায় থাকাবস্থায় জাতীয় পার্টি গঠনের পর থেকে বারবার এরশাদের দলে ভাঙন ধরেছে। এদের কেউ কেউ অন্য দলে গেছেন, কেউবা আবার দল থেকে বের হয়ে বা এরশাদকে জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কার করে জাতীয় পার্টি নামেই পৃথক দল গঠন করেছেন; এর জবাবে এরশাদও তাদের বহিষ্কার করেছেন। কাজী জাফর আহমেদ, নাজিউর রহমান মঞ্জুর, আনোয়ার হোসেন মঞ্জু আবার জাতীয় পার্টি নামেই দল গঠন করেছেন। জাফর-নাজিউরের মৃত্যুর পর তাদের দল সাইনবোর্ডসর্বস্ব দলে পরিণত হয়েছে। আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এক দল এক নেতা হিসেবে আওয়ামী লীগের আশ্রয়ে টিকে আছেন।
এক দল ভেঙে আরও অনেক দল গঠন হলেও এই জাতীয় পার্টি নামেই নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আছে একাধিক দলের নিবন্ধন। নাজিউর রহমান মঞ্জুর মৃত্যুর পর তার পুত্র আন্দালিভ রহমান পার্থের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি (নিবন্ধন নম্বর ১৮); অধ্যাপক ডা. এম. এ. মুকিত (চেয়ারম্যান), এ এন এম সিরাজুল ইসলামের (ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব) নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (নিবন্ধন নম্বর ২৮); এবং চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এমপি ও মহাসচিব শেখ শহীদুল ইসলামের নামে ইসিতে আছে জাতীয় পার্টি-জেপি (নিবন্ধন নম্বর ০২)। এছাড়াও আছে মোস্তফা জামাল হায়দারের জাতীয় পার্টি, দলটি বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটে থাকলেও ইসিতে নিবন্ধন নেই। এদের বাইরে আছে এরশাদের মূল জাতীয় পার্টি, ইসিতে যার নিবন্ধন নম্বর ১২। ইসিতে অবশ্য পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে এরশাদের নাম থাকলেও ওখানে মহাসচিবের নাম নাই। ফলে এরশাদের মৃত্যুর পর দলটি কার নামে ইসিতে তথ্য হালনাগাদ করবে এনিয়ে আছে প্রশ্ন।
বারবার ভাঙনের মুখে পড়া জাতীয় পার্টির বিলুপ্তি বারবার ঠেকিয়েছেন এরশাদ। তার মৃত্যুর পর এখন দলটির দেবর-ভাবীর দ্বন্দ্বের ফলে ফের ভাঙনের মুখে পড়েছে। এই অবস্থা থেকে তাদের উদ্ধার করবে কে? দলের চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় নেতার দায়িত্বগ্রহণ ইস্যুতে কেন্দ্র করে যে ভাঙনের মুখে পড়ল জাপা সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করতে পারে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ- এমন আলোচনা থাকলেও শুরুতেই এ নিয়ে কথা বলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এটা জাতীয় পার্টির অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। এটা অবশ্যই যৌক্তিক মন্তব্য তার। ভেতরে ভেতরে রাজনৈতিক প্রভাব থাকলেও প্রকাশ্যে সেই প্রভাবের প্রকাশ ঘটানো নিশ্চিতভাবেই অশোভন হতো। আওয়ামী লীগের এই মন্তব্য জাতীয় পার্টিকে যেমন অস্তিত্বহীনতার প্রমাণের লজ্জা থেকে বাঁচাল। একইভাবে বাঁচাল আওয়ামী লীগকে, কারণ জাতীয় পার্টিকে আওয়ামী লীগের ‘বি-টিম’ বলে অনেকেই অভিযোগ করে আসছিল, বিশেষত গত দুই টার্মের নির্বাচনে দলটিকে সর্বোচ্চ সহায়তা বিশেষত জাতীয় সংসদে বিরোধীদল হিসেবে তুলে আনার জন্যে।
অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে জাতীয় পার্টির এই দ্বন্দ্ব বাইরের কেউ সামাল না দিলে আরেকবার ভাঙনের মুখে পড়বে দলটি। পাল্টাপাল্টি বহিষ্কার চলবেও হয়ত। দলটির সাংসদরাও এই বহিষ্কারের মুখে পড়লে তাদের সংসদ সদস্যপদও পড়ে যাবে হুমকির মুখে। তখন স্পিকারকে সিদ্ধান্ত দিতে হতে পারে, অথবা স্পিকার বিষয়টি নির্বাচন কমিশনে পাঠালে এনিয়ে সিদ্ধান্ত দিতে হবে তাদের।
কী হবে তখন জাতীয় পার্টির? এমন অবস্থায় পড়লে প্রকাশ্যে না হলেও আড়ালে চলতে পারে আওয়ামী লীগের আপোষ কৌশল। আওয়ামী লীগ যদি আপোষ প্রচেষ্টায় প্রকাশ্য-গোপনে যেভাবেই হোক জড়ায় তবে সেটা হবে জাতীয় পার্টির আরেকটা লজ্জা।
জাতীয় পার্টি কি এই লজ্জার মুখে পড়তে চাইবে? উত্তর ‘হ্যাঁ/না’ যাই হোক না কেন, তারআগের প্রশ্নটা হচ্ছে- জাতীয় পার্টি আদৌ লজ্জার বিষয়টি কি বুঝতে পারছে?
(এ বিভাগে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। চ্যানেল আই অনলাইন এবং চ্যানেল আই-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে।)