হলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসী হামলার বিচারের রায় অন্যান্য দেশের জন্যও দৃষ্টান্ত বলে মনে করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
আসন্ন জলবায়ু অধিবেশন কোপ- টুয়েন্টি ফাইভে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন শেষে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
প্রায় তিন বছর আগে বাংলাদেশসহ পুরো বিশ্বকে স্তম্ভিত করে দেয়া গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারির নারকীয় হত্যার ঘটনায় ৭ জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল।
পুরান ঢাকার আদালত পাড়ার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান বুধবার বহুল আলোচিত ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলার রায় ঘোষণা করেন।
এই মামলার আরেক আসামি মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজানকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
২০১৬ সালের ১ জুলাই রাত ৯টার দিকে রাজধানীর গুলশান-২-এর ৭৯ নম্বর সড়কের পাশে অবস্থিত হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গিরা হামলা চালায়। তারা অস্ত্রের মুখে দেশি-বিদেশি অতিথিদের জিম্মি করে। পরে রাতেই ওখানে অভিযান চালাতে গিয়ে পুলিশের দুই কর্মকর্তা রবিউল করিম ও সালাউদ্দিন খান নিহত হন। এছাড়াও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ৩১ সদস্য ও র্যাব-১ এর তৎকালীন পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তুহিন মোহাম্মদ মাসুদসহ ৪১ জন আহত হন।
পরদিন ২ জুলাই ভোরে সেনা কমান্ডোদের পরিচালিত ‘থান্ডারবোল্ট’ নামের অভিযানে পাঁচ জঙ্গিসহ ছয়জন নিহত হয়। এরপর পুলিশ সেখান থেকে ১৮ বিদেশিসহ ২০ জনের লাশ উদ্ধার করে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আরও একজন রেস্তোরাঁকর্মী। আর কমান্ডো অভিযানের আগে ও পরে ৩২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।