প্রিমিয়ার লিগ শেষ হয়েছে কিছুদিন হলো। লিগের সেরা খেলোয়াড়দের এক করেছে মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া বিসিবির হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) কার্যক্রম। উন্নত ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে আরও এক ধাপ এগিয়ে গিয়ে জাতীয় দলের জন্য প্রস্তুত হওয়ার মঞ্চ এটি।
প্রথম দিন ফিটনেস নিয়ে কাজ হয়েছে। ফিটনেস ট্রেনার তুষার কান্তি হালদার দেখেছেন ক্রিকেটারদের শারীরিক সক্ষমতা। ৭-৮ জন করে গ্রুপে ভাগ হয়ে দিয়েছেন ফিটনেস পরীক্ষা।
এনামুল হক বিজয়, আল আমিন, তাসামুল হক, ইরফান শুক্কুর অংশ নিলেন রানিংয়ে। ১০ রাউন্ডের পর একে একে অনেকেই হাঁপিয়ে বের হলেন। রয়ে গেলেন দুইজন। ইরফান শুক্কুর ও তাসামুল হক। দুজনের মধ্যে শুরু হলো প্রতিযোগিতা। শেষ পর্যন্ত কে চালিয়ে যেতে পারেন দৌড়।
পায়ে ক্লান্তি ভর করলেও দম ধরে রেখে সমানতালে দৌড়ান তারা। তখনই ইনডোরে প্রবেশ করেন ক্যাম্পের হেড কোচ সায়মন হেলমট। এমন দৃশ্য দেখে এই অস্ট্রেলিয়ানের মুখে চওড়া হাসি। দৌড়ে শেষ পর্যন্ত টিকে থাকা ইরফানকে জিজ্ঞেস করলেন, বয়স কত? উত্তরে ‘২৪’ জেনে খুশিই হলেন হেলমট। বললেন সামনে অনেক সময় পড়ে আছে।
৬ সপ্তাহের ক্যাম্পে ফিটনেস নিয়ে কাজ হবে বুধবারও। এর পর ফিটনেসের কাজ কমে আসবে। শুরু হবে ব্যাট-বলের স্কিল ট্রেনিং। ২৪ জুন পর্যন্ত চলবে ক্যাম্পের প্রথম ধাপ। দ্বিতীয় ধাপ ঈদের পর।
এ নিয়ে টানা তৃতীয়বার এইচপি ক্যাম্পে আবু হায়দার রনি। এ বাঁহাতি পেসার ক্যাম্পে থাকার উপকারিতা হাতে হাতেই পাচ্ছেন। সদ্য শেষ হওয়া প্রিমিয়ার লিগে সর্বোচ্চ ৩৫ উইকেট শিকার করেছেন। এইচপি ক্যাম্পের কারণেই যে বোলিং ভালো হচ্ছে সেটি নিজ থেকেই বললেন রনি।
‘বাংলাদেশে যত ক্যাম্প হয় তার মধ্যে এইচপিতে সবচেয়ে ভালো কাজ হয়। ফিটনেস নিয়ে খুব ভালো কাজ হয়। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং নিয়েও কাজ হয়। এখানে থাকলে একটা মৌসুম খুব ভালোভাবে পার করা যায়। খুব গরম আবহাওয়ায় প্রিমিয়ার লিগের পরও সবাই ফিট আছি।’
ক্যাম্পে ডাক পাওয়া ২৪ ক্রিকেটারের মধ্য থেকে গঠন করা হবে ১৬ সদস্যের ইমার্জিং স্কোয়াড। জুলাইয়ে ইমার্জিং দল অস্ট্রেলিয়া সফর করবে। সেখানে প্রাদেশিক একটি দলের সঙ্গে খেলবে চারটি ওয়ানডে, দুটি দুই দিনের ও একটি তিন দিনের ম্যাচ। আর সেপ্টেম্বরে হতে পারে ইংল্যান্ড সফর।
ট্যুর যুক্ত হওয়ায় এবারের এইচপি ক্যাম্প আরও ফলপ্রসূ হবে বলে মনে করেন আবু হায়দার রনি, ‘বিদেশ সফর হলে আমাদের জন্য খুব ভালো হবে। আমরা যতো বেশি বাইরে খেলবো, তত বেশি অভিজ্ঞতা অর্জন করবো।’