উপকূলের জন্য প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা

কিছুদিন আগেই ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ছুঁয়ে দেশে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় আম্পান। উপকূলীয় জেলাগুলোসহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ফল, ফসল ও অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া সমুদ্র নিকটবর্তী এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ অরক্ষিত রয়েছে এখনও। এরই মধ্যে আবারও ঝড়ের মুখে উপকূলীয় এলাকা।

উত্তর বঙ্গোপসাগরে বায়ুচাপের তারতম্যের ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর, তৎসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকা ও চারটি সমুদ্রবন্দরের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে পূর্বাভাসে সতর্ক করেছে আবহাওয়া অফিস। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা এই চারটি সমুদ্রবন্দরের জন্য ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেয়া হয়েছে মঙ্গলবার সকালে।

আম্পানের পরে উপকূলের জেলাগুলোর এখনও জলাবদ্ধতা কাটেনি, ফসল হারিয়ে অসহায় কৃষক ও স্থানীয় জনগণ। দুর্গত ওইসব এলাকায় স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি সাহায্য প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি। এছাড়া উপকূলের বিভিন্ন এলাকায় কিছু বাঁধ নাজুক অবস্থায় ছিল বহুদিন ধরে, আবার কিছু এলাকায় বাঁধই ছিল না বলে বহু গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়ে আসছিল। সেসব দেখেও কেনো স্থানীয় প্রশাসন ব্যবস্থা নেয়নি তা খতিয়ে দেখা উচিত। এছাড়া স্থানীয় কিছু অসাধু ঠিকাদার ও বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের যোগসাজশে নানা আত্মঘাতি নির্মাণ পরিকল্পনাও করা হয় নতুন নতুন টেন্ডারের আশায়, এগুলোও বন্ধ হওয়া উচিত।

প্রকৃতির সৃষ্টি এসব ঝড়-জলোচ্ছ্বাসে মানুষের কোনো হাত নেই শুধুমাত্র সতর্ক হওয়া ছাড়া। ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আগে সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে উপকূল এলাকার জনগণকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছিল বলে প্রাণহানি কম হয়েছিল। এবারও যদি কোনো ধরণের ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতি হয়, তাহলে একইরকম ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি। আমাদের আশাবাদ সংশ্লিষ্টরা এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেবেন।

ঘূর্ণিঝড়