চীনের বিরুদ্ধে উইঘুরে মুসলিম ‘গণহত্যা’র অভিযোগ তুলেছে যুক্তরাষ্ট্র

চীনের বিরুদ্ধে উইঘুর মুসলিমদের ওপর গণহত্যার অভিযোগ তুলেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন, চীন উইঘুর মুসলিমদের গণহত্যা করছে।

পম্পেও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে তার সর্বশেষ বিবৃতিতে এমন অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি যে, এই গণহত্যা অব্যাহত রয়েছে। তারা পদ্ধতিগতভাবে গণহত্যা চালাচ্ছে।

এর আগেও উইঘুর মুসলিমদের উপর চীনের অত্যাচার নিয়ে সরব হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। শিনজিয়াং প্রদেশের বেশ কিছু প্রশাসনিক ব্যক্তির উপর আমেরিকায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। শুধু আমেরিকা নয়, ইউরোপীয় ইউনিয়নও উইঘুর মুসলিমদের উপর চীনের অত্যাচারের প্রসঙ্গ একাধিকবার সামনে এনেছে। কিন্তু এই প্রথম ‘গণহত্যা’ শব্দটি ব্যবহার করা হলো।

পম্পেও বিবৃতি দিয়ে জানান, ২০১৭ সাল থেকে শিনজিয়াং প্রদেশে লাগাতার গণহত্যা চালাচ্ছে চীন। লাখ লাখ মানুষকে বন্দি করা হচ্ছে। তাদের ধর্মাচরণ করতে দেওয়া হচ্ছে না। জন্মনিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। শুধু উইঘুর নয়, আরো বেশ কিছু ধর্মীয় সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর সঙ্গে একই আচরণ করা হচ্ছে।

ডোনাল্ড  ট্রাম্পের আমলে বেজিংয়ের সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্কে তলানিতে চলে যায়। আর শেষের দিকে এসে সেই সম্পর্ককে আরও তীব্র আকার দিলেন পম্পেও।

বিবিসি বলছে, এই বিষয়ে বাইডেন শিবিরের অফিসিয়াল কোনো বক্তব্য না থাকলেও সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন এই বিষয়ে প্রাপ্ত তথ্যগুলো তারই ইঙ্গিত দেয় বলে মন্তব্য করেছেন।

তিনি বলেছেন, এর সন্ধানে তিনি একমত।

পম্পের বিবৃতি নিয়ে চীন এখনো চীনের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোও মনে করে যে, চীন কয়েক বছর ধরে দশ লাখের বেশি উইঘুর মুসলিমকে আটক রেখেছে, যেটাকে তারা বলছে, ‘পুন:শিক্ষা শিবির’।

বিবিসির অনুসন্ধান বলছে, উইঘুর মুসলিমদের জোরপূর্বক শ্রমে নিয়োজিত করা হয়।

উইঘুর মুসলিমগণহত্যাচীনযুক্তরাষ্ট্র