ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর ভ্যাট প্রত্যাহার চায় বেসিস

ইন্টারনেট ব্যবহার আরও সহজলভ্য করতে সব পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর আরোপিত ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে তথ্য ও প্রযুক্তি খাতের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)।

বুধবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় এনবিআরের প্রধান কার্যালয়ে প্রাক-আলোচনায় এই দাবি জানান বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর।

সভায় ইলেক্ট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক্যালস, কম্পিউটার, আইসিটি ও টেলিযোগাযোগ খাতের বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

ব্যবসায়িক কর সনদ তথা ট্যাক্স এক্সেম্পশন সার্টিফিকেট পেতে ভোগান্তির অবসান চেয়ে সংগঠনটি বলছে, মাসের পর মাস অপেক্ষা করেও ট্যাক্স এক্সেম্পশন সার্টিফিকেট পাওয়া যায় না। তাই এই ভোগান্তি কমাতে প্রক্রিয়া সহজ করতে হবে।

এছাড়া আগামী বাজেটে সফটওয়্যার ও তথ্য-প্রযুক্তি সেবায় আরোপিত সাড়ে ৪ শতাংশ উৎসে মূল্য সংযোজন কর সম্পূর্ণ তুলে দিতে হবে। একইসঙ্গে, ইন্টারনেট মডেম, ফেসকার্ড, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সুইচ, হাব, রাউটার, সার্ভার ব্যাটারিসহ ইন্টারনেট ইকুইপমেন্টের (যন্ত্রাংশ) উপর আরোপিত ১০ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহার করতে হবে।

আলমাস কবীর বলেন, ‘বেসিসের সব সদস্যদের ২০২৪ সাল পর্যন্ত ট্যাক্স এক্সেম্পশন সার্টিফিকেট প্রধান, নতুন ব্যবসা শুরু করা কোম্পানিগুলোকে প্রথমবারে রিটার্ন দেয়ার ক্ষেত্রে তিন বছর পর্যন্ত সময় দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।

দোকান ছাড়াই যারা ই-কমার্স ব্যবসা পরিচালনা করে তাদের আয়কে কর মুক্ত রাখার দাবিও জানান তিনি।

একই সভায় বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির পক্ষ থেকে কম্পিউটার ও কম্পিউটার যন্ত্রাংশ স্থানীয়ভাবে উৎপাদনের ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক) অব্যাহতি সুবিধা ২০২৪ সাল পর্যন্ত অব্যাহত রাখা, কম্পিউটার ও কম্পিউটার যন্ত্রাংশ এবং সংশ্লিষ্ট যাবতীয় হার্ডওয়ার সামগ্রী আমদানি পরবর্তী পর্যায়ে সরবরাহ বা বিক্রির উপর প্রযোজ্য মূসক হতে অব্যাহতি দেয়ার প্রস্তাব করা হয়।

২৮ ইঞ্চি পর্যন্ত কম্পিউটারে মনিটরের ওপর শুল্ক প্রত্যাহার এবং ২০২১ সাল পর্যন্ত কম্পিউটার পণ্যসামগ্রীর খুচরা ও সরবরাহ ব্যবসা পর্যায়ে ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি করা হয়।

একই ধরনের প্রস্তাব দেয় ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ। সংগঠনটির পক্ষ থেকে ট্রেজারার সুভ্রত সরকার শুভ্র বলেন, আইএসপি (ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার) সার্ভিসের আওতায় ১২ শতাংশ হারে উৎসে কর কর্তনের বিধান রয়েছে। যা বাতিল করলে এ খাতের ব্যবসা পরিচালনা সহজ হবে।

এসব দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, দেশীয় উদ্যোক্তাদের জন্য কর্পোরেট কর কমানো হবে। দেশি শিল্প উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে আসছে বাজেটে এ বিষয়ে প্রাধান্য দেয়া হবে। তবে হয়তো আমদানিমুখী প্রতিষ্ঠানগুলোকে বেশি ছাড় দেওয়া যাবে না।

বেসিসবেসিস প্রস্তাবনা