ইংল্যান্ড-ভারত ম্যাচে ফিক্সিংয়ের অভিযোগ

চলতি বছরের শুরুর দিকে ভারতীয় নারী ক্রিকেট দলের এক সদস্যকে ম্যাচ ফিক্সিং করতে বলা হয়েছিল। দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) দুর্নীতি বিরোধী সংস্থার কাছে তখন বিষয়টি জানান ওই ক্রিকেটার।

ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজের ঠিক আগে এটা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা রাকেশ বাফনা এবং জিতেন্দ্র কোঠারি নামের দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।

বিসিসিআই’র দুর্নীতিদমন শাখার প্রধান অজিত সিং শেখাওয়াত সোমবার বলেছেন, ‘বেঙ্গালুরুর দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। ভারতীয় জাতীয় দলের এক মেয়ে ক্রিকেটারকে ওই দুই ব্যক্তি ম্যাচ গড়াপেটা করার প্রস্তাব দেয়। ওই ক্রিকেটারের সঙ্গে সেই ব্যক্তিদের একজনের ফোনে কী কথা হয়েছে, তাও রেকর্ড আছে।’

তার আরও সংযোজন, ‘কোঠারিকে গত বছর দলের স্পোর্টস ম্যানেজার হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল। তার মধ্যে দিয়েই বাফনার সঙ্গে ওই খেলোয়াড়ের যোগাযোগ হয়।’

ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজ চলাকালীন ম্যাচ গড়াপেটার জন্য বাফনা প্রত্যেক ক্রিকেটারকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত দেয়ার কথা বলে।

ফিক্সিং সন্দেহের তালিকায় পড়েছে ভারতের তামিলনাড়ু প্রিমিয়ার লিগও (টিএনপিএল)। এই লিগে ম্যাচ গড়াপেটা হয়েছে বলে মনে করছে খোদ বিসিসিআই।

বোর্ডের দুর্নীতি বিরোধী শাখা (এসিইউ) মনে করছে, ম্যাচ গড়াপেটার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন ভারতের কয়েকজন ঘরোয়া ক্রিকেটার এবং রঞ্জি ট্রফি দলের দু’জন কোচও। তবে কোনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার গড়াপেটার সঙ্গে যুক্ত নয় বলে জানিয়েছে এসিইউ।

এসিইউয়ের প্রধান অজিত সিং বলছেন, ‘কয়েকজন খেলোয়াড় সন্দেহভাজন কয়েকজনের থেকে হোয়াটসঅ্যাপ মারফত কিছু নির্দেশিকা পেয়েছিল। সেটা ম্যাচ গড়াপেটার প্ররোচনা বলেই আমরা মনে করছি। এই সন্দেহভাজনদের আসল পরিচয় আমরা জানার চেষ্টা করছি। কয়েকজন খেলোয়াড়ের বক্তব্যও ইতিমধ্যে আমরা রেকর্ড করেছি।’

আট দলের টিএনপিএলে একটি দলও এই গড়াপেটার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত বলে মনে করছে বিসিসিআই।

ছয় বছর আগে সাম্প্রতিক কালের সবচেয়ে ভয়াবহ গড়াপেটার অভিযোগ উঠেছিল ভারতীয় ক্রিকেটে। সেই ঘটনাটি ঘটেছিল আইপিএলে। ম্যাচ গড়াপেটার জন্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয় ভারতীয় সাবেক ক্রিকেটার এস শ্রীশান্তসহ আরও দু’ জনের উপর।

ফিক্সিংলিড স্পোর্টস