আল কায়েদার প্রবীণ নেতাকে হত্যার দাবি

যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)-এর মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসীদের তালিকায় থাকা আল কায়েদার প্রবীণ নেতা আবু মুহসিন আল-মাসরিকে হত্যার দাবি করেছে আফগানিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা (এনডিএস)।

শনিবার আফগানিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার এক টুইট বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।

আল-মাসরি আল কায়েদার সেকেন্ড-ইন-কমান্ড হিসাবে দায়িত্ব পালন করছিলেন বলে জানায় আফগানিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা। দেশটির গজনী প্রদেশে একটি বিশেষ অভিযানের সময় তিনি নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে এনডিএস।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় কাউন্টার-টেরোরিজম সেন্টারের প্রধান ক্রিস মিলার এক বিবৃতিতে আল-মাসরির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন: এ ঘটনা ওই সন্ত্রাসবাদী সংস্থার জন্য বড় ধাক্কা। সন্ত্রাসী সংগঠনের কার্যকারিতা যে হ্রাস পাচ্ছে এটা তাই প্রমাণ করে।

আল কায়েদার নেতা আল-মাসরির বিরুদ্ধে বিদেশী সন্ত্রাসী সংগঠনকে সহায়তা, অস্ত্র সরবরাহ এবং মার্কিন নাগরিকদের হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এ বিষয়ে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

অন্যদিকে এর আগে শনিবার দুপুরের পর আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাইরে আত্মঘাতী বোমা হামলায় অন্তত ২৪ জন মারা গেছেন এবং বহু লোক আহত হয়েছেন। বেসরকারি ওই প্রতিষ্ঠানে উচ্চ শিক্ষায় নিয়োজিত থাকা শিক্ষার্থীদের জন্য কোর্স করানো হতো।

আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বোমা হামলাটি হয় শনিবার দুপুরের পর। শিয়া মুসলিম অধ্যুষিত দাশত্-এ-বারচি এলাকায় সাধারণত শত শত শিক্ষার্থী থাকে। ওই হামলায় আহত অনেককে হাসপাতালে নেয়া হয়। 

নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেলে পোস্ট দিয়ে ইসলামিক স্টেট গ্রুপ এই হামলার দায় স্বীকার করলেও নিজেদের জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ দেখাননি তারা।  এর আগে তালেবান এই হামলায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে।

আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সংবাদ সংস্থা এএফপি’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘একজন আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেন। হামলাকারীকে নিরাপত্তা রক্ষীরা ভেতরে ঢুকতে না দিলে সেখানে বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়।’

এফবিআই এর তথ্য অনুসারে আল কায়েদা সংগঠনটি পরিচালিত হয় হুসাম আবদ-আল-রাউফ নামের এক ব্যক্তি দ্বারা, ‍যিনি একজন মিশরীয় নাগরিক ছিলেন।

গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছিলেন, আফগানিস্তানে আল-কায়েদার ২০০ জনেরও কম কর্মী রয়েছে।

আল-কায়েদা