দেশের তৈরি পোশাক শিল্পের কর্ম-পরিবেশ উন্নয়নে কার্যক্রম চালাতে আরো২৮১ কর্মদিবস সময় পেল ইউরোপীয় ক্রেতা জোট অ্যাকর্ড অন ফায়ার অ্যান্ড বিল্ডিং সেফটি ইন বাংলাদেশ ‘অ্যাকর্ড’।
আকর্ড ও তৈরি পোশাক রপ্তানীকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র মধ্যে সমঝোতা স্মারকের ভিত্তিতে রোববার এ আদেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ।
সেই সঙ্গে হাই কোর্টের স্থগিতাদেশটি সংশোধন করে এবং কোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে অ্যাকর্ডের করা আপিল নিষ্পত্তি করে দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।
আজ আদালত তার আদেশে বলেছে, গত ৮ মে অ্যাকর্ড ও বিজিএমইএ’র মধ্যে ২৮১ কর্মদিবসের যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে, সে অনুযায়ী ৮ মে থেকে ২৮১ কর্মদিবস কাজ চালিয়ে যেতে পারবে অ্যাকর্ড।
আদালতে অ্যাকর্ডের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন কে এস সালাহ উদ্দিন, বিজিএমইএ’র পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইমতিয়াজ মইনুল ইসলাম। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা।
পোশাক শিল্পের কর্ম-পরিবেশ উন্নয়নে দ্বিতীয় মেয়াদে আরও তিন বছর থাকতে ব্র্যান্ড ও ক্রেতা-প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যে নতুন চুক্তি করেছিল অ্যাকর্ড, তার কার্যক্রম ২০১৭ সালের ১৫ অক্টোবর স্থগিত করেছিল হাইকোর্ট।
এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রুলসহ এ আদশে দিয়েছিল উচ্চ আদালত। সরকার, মালিকপক্ষ ও শ্রমিক পক্ষের অনুমোদন না নিয়ে মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছিল রুলে। স্টিচিং বাংলাদেশ অ্যাকর্য ফাউন্ডেশন, শ্রম মন্ত্রণালয় ও কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের প্রধান পরিদর্শককে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
হাইকোর্টের সে আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করলে চেম্বার আদালত তা স্থগিত করে আবেদনটি পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠানো হয়। এরপর পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ কয়েক দফায় স্থগিতাদেশ বহাল রাখলে দেশে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিল অ্যাকর্ড।
এরপর গত ৮ মে বিজিএমইএ ও অ্যাকর্ডের মাঝে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়; যেখানে আরও ২৮১ দিন যৌথভাবে কাজ চালিয়ে যাওয়ার শর্ত রাখা হয়। এ সমঝোতা হওয়ার পর উভয় পক্ষই আপিল বিভাগে অবেদন করলে রোববার এ আদেশ দিলেন সর্বোচ্চ আদালত।