আরেকজন প্রধানমন্ত্রী উপহার দিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

ভুটানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন মধ্য-বামপন্থি প্রার্থী লোটে শেরিং। প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত লোটে শেরিং বাংলাদেশের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস ২৮তম ব্যাচের ছাত্র হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্র্যাজুয়েট।

বাংলাদেশ থেকে এমবিবিএস ও এফসিপিএস করে ভুটানে ফিরে গিয়ে ২০১৩ সালে রাজনীতিতে যোগ দেন লোটে শেরিং। তিনি একজন কনসালট্যান্ট ইউরোলজিস্ট। দেশটির লোটে শেরিং-এর মধ্য-বামপন্থি দল ডিএনটি পার্লামেন্টের ৪৭ আসনের মধ্যে ৩০টি আসনে জয় পায়।

এটি ২০০৮ সালে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোট শুরু হওয়ার পর তৃতীয় জাতীয় নির্বাচন। ২০০৮-এর নির্বাচনে জয় পাওয়া দল ডিপিটি এবারের নির্বাচনে বাকি ১৭টি আসন পেয়েছে।

এর মধ্য দিয়ে পরপর তিনটি নির্বাচনে তিনটি ভিন্ন ভিন্ন দল ক্ষমতায় আসার সুযোগ পেল ভুটানে, যা পুরো দক্ষিণ এশিয়ার জন্যই একটি নতুন দৃষ্টান্ত।

ভুটানের সংবিধান অনুসারে, প্রাইমারি রাউন্ডের ভোটযুদ্ধে সর্বাধিক ভোট পাওয়া দু’টি দলই শুধু চূড়ান্ত রাউন্ডে আগামী পাঁচ বছরের জন্য সরকার গঠনের উদ্দেশ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে। সেই হিসেবে ডিএনটি এবং ডিপিটি প্রাইমারিতে উতরে পার্লামেন্টের নিম্নসভার ৪৭টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল।

ক্ষমতাসীন দল পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে সেপ্টেম্বরের প্রাইমারিতে হেরে চূড়ান্ত ভোটযুদ্ধ থেকে বাদ পড়ে যান।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভোটগ্রহণ বন্ধ হওয়া পর্যন্ত মোট নিবন্ধিত ভোটারের ৭১ শতাংশই ভোট দিতে পেরেছিলেন বলে জানিয়েছে ইকোনমিক টাইমস। প্রাইমারিতে এ হার ছিল ৬৬ শতাংশ। ২০১৩ সালের নির্বাচনেও ভোটার উপস্থিতি ছিল এরচেয়ে কম।

নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং ভুটানকে নতুন করে গড়ার প্রতিজ্ঞা করেছেন।

ভুটানভুটানের প্রধানমন্ত্রীলিড নিউজলোটে শেরিং