মুন্সিগঞ্জের পশ্চিমপাড়ার জাহাঙ্গীর। নিয়মিত লঞ্চে যাতায়াত তার। প্রায় প্রতিদিনের মতো আজও সকালে মর্নিং বার্ড নামের লঞ্চ করে আসছিলেন ঢাকা। লঞ্চটি ঢাকার সদরঘাট টার্মিনালের কাছাকাছি পৌঁছেও যায়। যাত্রীরা নামার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এমনই সময় ঘটে যায় প্রাণঘাতি দুর্ঘটনা। অন্য একটি লঞ্চ পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। নিমিষেই তলিয়ে যায় মর্নিং বার্ড নামের লঞ্চটি।
১০০ যাত্রীবাহী ডুবে যাওয়া লঞ্চ থেকে যে যেদিকে পারে বাঁচার চেষ্টা করে। তাদের মধ্যে বেঁচে যাওয়া অন্যতম একজন জাহাঙ্গীর। নির্মম এই দুর্ঘটনার বর্ণনা দিচ্ছিলেন তিনি।
জাহঙ্গীর বলছেন, সদরঘাটের কাছাকাছি চলে আসে আমাদের লঞ্চ। এমন সময় আরেকটা লঞ্চ এসে ধাক্কা দেয়। সাথে সাথেই আমাদেরটা উল্টে যায়। ওসময় আমরা যে যেভাবে পারি বাঁচার চেষ্টা করি।
তিনি বলছেন, ওই লঞ্চে যাত্রী ছিলেন ১০০ এর মতো, তার সাথে ছিলেন ৭ জন। তাদেরকে তিনি আর খুঁজে পাননি।
জাহাঙ্গীর বলছেন, আমার চোখে দেখা ৭ জনকে পাইনি। তাদের কেউ ফিরেনি!
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী অনেকে বলছেন: সকাল পৌনে ৯টায় মুন্সিগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা দুই তলা মর্নিং বার্ড লঞ্চটি সদরঘাট কাঠপট্টি ঘাটে ভেড়ানোর খানিক আগে চাঁদপুরগামী ময়ূর-২ লঞ্চটি ধাক্কা দেয়। এতে সঙ্গে সঙ্গে মর্নিং বার্ড লঞ্চটি ডুবে যায়। লঞ্চটিতে ১০০জন যাত্রী ছিলেন। এখন পযন্ত ২৫ জনের মতো মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিখোঁজদের উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস, কোস্টগার্ড, নৌবাহিনীর সদস্যরা।