আমার যাবার সময় হল দাও বিদায়

চলে গেলেন নজরুল সংগীতশিল্পী খালিদ হোসেন

বিশিষ্ট নজরুলসংগীতশিল্পী, গবেষক, স্বরলিপিকার, সংগীতপ্রশিক্ষক ও একুশে পদকপ্রাপ্ত সংগীতশিল্পী খালিদ হোসেন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

বুধবার রাত সোয়া দশটায় তিনি রাজধানীর জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) মারা যান।

খবরটি চ্যানেল আই অনলাইনকে নিশ্চিত করেন তার ছেলে আসিফ।

তিনি বলেন, বাবাকে হাসপাতাল থেকে এখন মোহাম্মদপুর তাজমহল রোডের বাসায় নিয়ে যাওয়া হবে। বৃহস্পতিবার গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়া নিয়ে যাওয়া হবে, এরপর বাবার শেষ ইচ্ছানুযায়ী কুষ্টিয়ায় দাদির কবরের পাশে তাঁকে সমাহিত করা হবে।

দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ, কিডনি ও ফুসফুসের সমস্যার পাশাপাশি বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছেন খালিদ হোসেন।

১৯৩৫ সালের ৪ ডিসেম্বর পশ্চিবঙ্গে জন্মগ্রহণ করেন খালিদ হোসেন। কিন্তু দেশ বিভাগের পরে পরিবারসহ বাংলাদেশে স্থায়ী হন তিনি।

খালিদ হোসেন সংগীত প্রশিক্ষক ও নিরীক্ষক হিসেবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, দেশের সকল মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ও বাংলাদেশ টেক্সট বুক বোর্ড এ দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া তিনি নজরুল ইনস্টিটিউটে নজরুলগীতির আদি সুরভিত্তিক নজরুল স্বরলিপি প্রমাণীকরণ পরিষদের সদস্য।

খালিদ হোসেনের গাওয়া ছয়টি নজরুলসংগীতের অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া আধুনিক গানের একটি ও ইসলামি গানের ১২টি অ্যালবাম প্রকাশ পেয়েছে গুণী এই শিল্পীর কণ্ঠে।

সংগীতে অসামান্য অবদানের জন্য ২০০০ সালে একুশে পদক পান খালিদ হোসেন। এছাড়া পেয়েছেন নজরুল একাডেমি পদক, শিল্পকলা একাডেমি পদক, কলকাতা থেকে চুরুলিয়া পদকসহ আরও অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা।

খালিদ হোসেনশিল্পী