‘আমাদের একটা মোমেন্টাম জরুরি’

চট্টগ্রাম থেকে: ব্যাটিংয়ে টালমাটাল অবস্থা। স্বাভাবিক খেলাটাই যেন ভুলে গেছেন টাইগাররা। ছন্দ হারিয়ে হতবিহ্বল অবস্থা বাংলাদেশ দলের। মাঠ ও মাঠের বাইরে ক্রিকেটারদের যে শারীরিক ভাষা, তার অনুবাদ হতে পারে- কী করলে কী হবে জানা নেই!

তাই বলে ভাবলেশহীন হয়ে পড়ে থাকলেও আপাতত চলছে না। মিরপুরে আগের ম্যাচে আফগানিস্তানের কাছে হারের পরও ত্রিদেশীয় টি-টুয়েন্টি সিরিজের ফাইনালে ওঠার পথ সহজই আছে। নিজেদের শুরুর দুই ম্যাচেই হেরে যাওয়া জিম্বাবুয়েকে বুধবার হারাতে পারলে আফগানিস্তানের সঙ্গে ফাইনাল নিশ্চিত হবে বাংলাদেশেরও।

ফিট থাকতে সবার আগে চিনি বাদ দিন, প্রাকৃতিক ও নিরাপদ জিরোক্যাল-এর মিষ্টি স্বাদ নিন।

ভেন্যু বদলেছে। বাংলাদেশের ব্যাটিংটাও বদলে যাবে, সেটিই দেখার অপেক্ষায় থাকবেন চট্টগ্রামবাসী। বন্দরনগরীর জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের কৃত্রিম আলোয় মঙ্গলবার ব্যাটসম্যানরা দিয়েছেন তারই মহড়া। আসল লড়াইয়ে একই চেহারায় লিটন-মুশফিক-সাকিবদের দেখা গেলে কাটতে পারে দুরবস্থা!

সেদিকেই তাকিয়ে অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। অনুশীলনে নামার আগে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়ে গেলেন একটা জয় এ মুহূর্তে কতটা প্রয়োজন, ‘আমাদের একটা মোমেন্টাম জরুরি, একটা ম্যাচ জেতা আসলে দরকার। আমরা প্রথম ম্যাচ জিতেছি এবং একটা ম্যাচ হেরে গেছি। পরের ম্যাচটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা জেতার জন্যই নামব। শতভাগ অ্যাগ্রেসিভ ক্রিকেটটাই খেলব।’

মঙ্গলবার অনুশীলনে দল

‘যখন মাঠে নামি, অবশ্যই প্রত্যেকটা ম্যাচ জেতার জন্য খেলি। আসলে আমাদের সামনে আরও তিনটা ম্যাচ আছে, যদি ফাইনাল খেলি। ওভাবে চিন্তা না করে (সামনে আরও ম্যাচ আছে) আমার মনে হয় আমরা পরের ম্যাচটা জেতার জন্যই খেলব। ওভাবে (আরও সুযোগ থাকবে) কোনো চিন্তা করার সুযোগ নেই।’

ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে ২২ গজ থেকে অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানরা পালিয়ে বেরিয়েছেন। দায়িত্ব চাপিয়েছেন তরুণদের কাঁধে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে আফিফ হোসেন, মোসাদ্দেকের ব্যাট অসম্ভবকে সম্ভব করলেও আফগানদের সঙ্গে দ্বিতীয় ম্যাচে হয়ে ওঠেনি। বাংলাদেশ হেরেছে ২৫ রানে। হারের ব্যবধান যেহেতু খুব বেশি নয়, মোসাদ্দেক তাই মনে করছেন কিছু কিছু ভুল শুধরে নিলেই কক্ষপথে চলে আসতে পারে দল।

‘একটা কথা প্রথমেই বলেছি, আফগানিস্তানের স্পিনার নিয়ে সবসময় কথাটা বেশি ওঠে। ওদের বিপক্ষে আমরা ম্যাচ হেরে যাচ্ছি ২৫-২০ রানে। ওদের যে স্পিনাররা আছে, আমরা যদি আরেকটু ক্যালকুলেটিভ খেলি বা যে ভুলগুলো করছি তা আরেকটু কমিয়ে আনি, আমার মনে হয় সব জায়গাতেই আমরা ঠিক আছি। শুধু কিছু জায়গা ছাড়া। টি-টুয়েন্টিতে ১৬০ রান হবে এটাই স্বাভাবিক, সেখানে হয়ত আমরা ১৪৫ বা ১৫০ করছি। যে জায়গায় আমরা একটু বেশি তাড়াহুড়ার করছি সেখানে যদি তাড়াতাড়ি ভুল মিনিমাইজ করি, আমাদের ম্যাচ জেতার হার বেড়ে যাবে।’

মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতলিড স্পোর্টস