দানিয়েল সুজিত বোস: পাটখাতে প্রয়োজনীয় অর্থবরাদ্দ, বকেয়া মজুরি ও বেতন পরিশোধসহ ১১ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে খুলনা-যশোর অঞ্চলের ৯ রাষ্ট্রায়ত্ত্ব পাটকলে আবারও বিক্ষোভ ও অনশন কর্মসূচি পালন করছে শ্রমিক-কর্মচারীরা।
খালিশপুর, আটরা ও নওয়াপাড়া শিল্প এলাকায় রাষ্ট্রায়ত্ত্ব পাটকলগুলোতে বিক্ষোভ ও অনশন কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছে প্রায় অর্ধলাখ শ্রমিক-কর্মচারী। মিলের উৎপাদন বন্ধ রেখে খালিশপুর বিআইডিসিরোড, আটরা ও রাজঘাট এলাকার খুলনা-যাশোর মহাসড়কে শ্রমিকরা প্রথম দিনে এ অনশন কর্মসূচি পালিত হয়।
১১ দফা দাবিতে গত ১০ ডিসেম্বর থেকে অনশন কর্মসূচির ডাক দেয় রাষ্ট্রায়ত্ত্ব পাটকল সিবিএ-নন সিবিএ সংগ্রাম পরিষদ। অনশন কর্মসূচির চতুর্থ দিনে রাত ১২টায় শ্রম প্রতিমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতিতে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনশন স্থগিত ঘোষণা করেছিল আন্দোলনকারীরা।
পরবর্তীতে ১৫ ডিসেম্বর বিজেএমসিতে ও ২৬ ডিসেম্বর শ্রম মন্ত্রণালয়ে শ্রমিক নেতাদের সাথে বৈঠকে দাবির ব্যাপারে কোন সমাধান না হওয়ায় আবারও অনশন কর্মসূচির ডাক দেয় সংগ্রাম পরিষদের নেতারা।
সেই কর্মসূচি অনুযায়ী আজ দুপুর ১২টায় ক্রিসেন্ট, প্লাটিনাম, খালিশপুর, দৌলতপুর, স্টার , আলীম ও ইস্টার্ন মিলের শ্রমিকরা নিজ নিজ কর্মস্থল ত্যাগ করে মিলের উৎপাদন বন্ধ করে।
পরে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে খালিশপুর বিআইডিসি রোড, আটরা আলীম ও জেজেআই জুট মিল গেটে অবস্থান নিয়ে অনশন কর্মসূচি শুরু করে। তবে নওয়াপাড়া এলাকার জেজেআই ও কার্পেটিং জুট মিলের শ্রকিরা এ কর্মসূচিতে অংশ নিলেও মিলের উৎপাদন স্বাভাবিক রয়েছে।
খালিশপুর বিআইডিসি রোডে, আটরা ও রাজঘাট খুলনা-যশোর মহাসড়কে কর্মসূচি চলাকালে দফায় দফায় শ্রামিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
রাষ্ট্রায়ত্ত্ব পাটকল সিবিএ ননসিবিএ সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক আঃ হামিদ সরদার, যুগ্ম আহবায়ক মোঃ মুরাদ হোসেন, মোঃ সোহরাব হোসেন, সাহানা শারমিন ও মো হুমায়ুন কবীর, শেখ মোঃ ইব্রাহিম ও আবু দাউদ দ্বীন মোহাম্মদ সমাবেশ বক্তব্য রাখেন।