চট্টগ্রাম থেকে: আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে অথৈ সাগর থেকে বাংলাদেশকে টেনে তুলে অবিস্মরণীয় এক জয় উপহার দিয়েছেন আফিফ হোসেন ধ্রুব ও মেহেদী হাসান মিরাজ।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বসে তাদের খেলা উপভোগ করেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। ম্যাচ শেষে তিনি জানালেন, আফিফ-মিরাজের স্কোয়াডে থাকাই ছিল অনিশ্চিত।
ওয়ানডে দল গঠনের সময় কার সুপারিশে আফিফ-মিরাজ টিকে থাকলেন সেটি অবশ্য জানা যায়নি। সাগরিকায় ম্যাচ শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন নাজমুল হাসান।
তিনি বলেন, ‘আমি এখানে আসার সময় বলছিলাম, এরা (আফিফ-মিরাজ) খেলবে তার নিশ্চয়তা ছিল না। স্কোয়াডেই এরা থাকবে কিনা সেটিই অনিশ্চিত ছিল। এখানে অন্য নামও ছিল। কিন্তু অপশন তো আমাদের আছে। চিন্তা করছি যদি এরা না খেলতো কী হতো!’
‘এটা বড় কথা না। আমার বাংলাদেশ জিতেছে, খুশি না হওয়ার কোনো কারণ নেই। খেলা শুরুর আগে আফগানিস্তানের বিপক্ষে আমরা জিতব আমার ধারণা এটা সবাই ভেবেছে। যেটি আশ্চর্য হওয়ার বিষয় না। কিন্তু যে পরিস্থিতিতে আমরা পড়েছিলাম, এটাকে হ্যান্ডেল করার মতো সাহস, দৃঢ়তা, জিতব, পারব এবং বিশ্বাস যেটি দেখিয়েছে দুইজন তরুণ এটা অসাধারণ। এটা আমাদের নতুন প্রজন্মের খেলোয়াড় যারা আছে তাদের জন্য ইতিবাচক ব্যাপার। এখন বলতে পারি ক্রিকেটে আমাদের ভবিষ্যত অতটা খারাপ হবে না।’
সাগরিকায় ২১৫ রান তাড়া করতে নেমে পঞ্চাশের আগেই ৬ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। চার পাণ্ডবও সাজঘরে ফেরায় কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হন আফিফ ও মিরাজ। দুইশর বেশি রান তাড়া অসম্ভব ব্যাপারই ছিল। শেষ পর্যন্ত দুই তরুণের কাঁধে চড়ে ধীরে ধীরে বাংলাদেশ পৌঁছায় জয়ের ঠিকানায়।
২১৬ রানের লক্ষ্য টাইগাররা টপকেছে ৭ বল হাতে রেখে। সপ্তম উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ১৭৪ রানের রেকর্ড জুটিটি লেখা হয়েছে রেকর্ডের পাতায়। ৪ উইকেটের রোমাঞ্চকর জয়ে সিরিজে এগিয়ে (১-০) গেছে তামিম ইকবালের দল। ১১৫ বলে ৯৩ রানে আফিফ ও ১২০ বলে ৮১ রানে অপরাজিত থাকেন মিরাজ।