আজ ৩৭ জনের মৃত্যু

দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণের ৪২৬তম দিনে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৩৭ জনের মৃত্যুতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৮৩৩ জনে।

সর্বশেষ এরচেয়ে কম মৃত্যুর খবর এসেছিল গত ২৮ মার্চ; সেদিন ৩৫ জনের মৃত্যুর তথ্য জানয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

করোনায় গত মাসের ১৯ তারিখ সর্বোচ্চ ১১২ জনের মৃত্যু হয়। গতকাল ৪১ জনের মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. নাসিমা সুলতানার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় (অ্যান্টিজেন টেস্টসহ) ১৭ হাজার ১৩টি নমুনা পরীক্ষায় এক হাজার ৬৮২ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। এই সময়ে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার নয় দশমিক ৮৯ শতাংশ।

তবে শুরু থেকে মোট পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ।

সরকারী ব্যবস্থাপনায় এখন পর্যন্ত ৪১ লাখ ১৮ হাজার ১৫১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ১৪ লাখ ৮১ হাজার ১২৫টি নমুনা। অর্থাৎ, মোট পরীক্ষা করা হয়েছে ৫৫ লাখ ৯৯ হাজার ২৭৬ নমুনা।

এর মধ্যে শনাক্ত হয়েছেন সাত লাখ ৭০ হাজার ৮৪২ জন। তাদের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় তিন হাজার ১৭৮ জনসহ মোট সাত লাখ চার হাজার ৩৪১ জন সুস্থ হয়েছেন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯১ দশমিক ৩৭ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় যে ৩৭ জন মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের মধ্যে ২৩ জন পুরুষ ও ১৪ জন নারী। তাদের মধ্যে ৩৬ জনের হাসপাতালে (সরকারীতে ২৮ জন, বেসরকারীতে ৮ জন) ও একজনের বাড়িতে মৃত্যু হয়েছে। তারাসহ মৃতের মোট সংখ্যা ১১ হাজার ৮৩৩। মোট শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৫৪ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত আট হাজার ৫৮৯ জন পুরুষ মারা গেছেন যা মোট মৃত্যুর ৭২ দশমিক ৫৯ শতাংশ এবং তিন হাজার ২৪৪ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছেন যা মোট মৃত্যুর ২৭ দশমিক ৪১ শতাংশ।

বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ৩৭ জনের মধ্যে ত্রিশোর্ধ্ব এক জন, চল্লিশোর্ধ্ব পাঁচ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১১ জন এবং ষাটোর্ধ্ব ২০ জন রয়েছেন। আর বিভাগওয়ারী হিসাবে ঢাকা বিভাগে ১৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১১ জন, রাজশাহী বিভাগে দুই জন, খুলনা বিভাগে এক জন, বরিশাল বিভাগে এক জন, সিলেট বিভাগে দুই জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে এক জন।

করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২১৫টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ১৫ কোটি ৬৭ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৩২ লাখ ৭২ হাজারের বেশি মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ১৩ কোটি ৪১ লাখের বেশি।

করোনাভাইরাসনতুন শনাক্তস্বাস্থ্য অধিদপ্তর