প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন: আমাদের সন্তানেরা যাতে এগিয়ে যেতে পারে সেলক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আজকের শিশু আগামী দিনে এ দেশের কর্ণধার। আজকের শিশুদের মধ্য থেকেই কেউ প্রধানমন্ত্রী হবে, মন্ত্রী হবে; কেউ বড় বড় চাকরি করবে, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। একই সঙ্গে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদক থেকে নতুন প্রজন্মকে রক্ষায় সমাজের সর্বস্তরের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার সকালে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে শিশু-কিশোর সমাবেশে বক্তব্যকালে তিনি এ কথা বলেন। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে সারা দেশ ও বিদেশে বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টায় একযোগে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন: আমরা আমাদের শিশুদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে মানুষ করতে চাই। দেশকে ভালোবাসে তারা কাজ করবে। বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশ। ২০২০ সালে আমরা জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকী পালন করবো। ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। ২০২০ থেকে ২০২১ আমরা মুজিব বর্ষ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছি। আমরা এই সময়টাকে এমন ভাবে পালন করতে চাই, যেন বাংলাদেশ ক্ষুধামুক্ত-দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে উঠতে পারে। এখানে উপস্থিত সকল শিশু এবং প্রবাসে থাকা আমাদের সকল শিশুর জন্য আমি স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। সেইসঙ্গে এতোটুকুই বলবো বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
আজকের শিশুরাই আগামীর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলবে এমন আশাবাদ রেখে তিনি বলেন: তোমরাই গড়ে তুলবে একটি উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। ইনশাল্লাহ এই বাংলাদেশ হবে দক্ষিণ এশিয়ায় উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ। জাতির পিতার স্বপ্ন আমরা পূরণ করব।
প্রত্যাশা রাখেন: আমার দোয়া তোমাদের সঙ্গে রইল। তোমরা তোমাদের বাবা-মায়ের কথা শুনবে, শিক্ষকদের কথা শুনবে; নিয়ম শৃঙ্খলা মেনে চলবে। সুন্দরভাবে জীবন যাপন করবে। সেটাই আমরা কামনা করি। সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
এসময় চির কিশোর কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য’র ছাড়পত্র কবিতার কয়েকটি লাইন শিশুদের উদ্দেশ্যে আবৃত্তি করে শোনান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন: আমাদের কবি সুকান্ত মাত্র ১৯ বছর বয়সে মারা যান। কিন্তু লিখে গিয়েছিলেন কিছু গুরুত্বপূর্ণ কবিতা। যায় এখনো আমাদের জন্য প্রযোজ্য। এরপরই আবৃত্তি শুরু করেন:
যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ
প্রাণপণে পৃথিবীর সরাব জঞ্জাল,
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য ক’রে যাব আমি—
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গিকার।