ক্রীড়াঙ্গনের বিভিন্ন ইভেন্টের মধ্যে ক্রিকেট অন্যতম একটি জনপ্রিয় খেলা এবং বিশ্বব্যাপী যার জনপ্রিয়তা দিনকে দিন বাড়ছে। বার্বাডোজ, জ্যামাইকা, ত্রিনিদাদ এন্ড টোবাগোর মতো ক্যারিবীয় দ্বীপগুলো ক্রিকেটের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। ব্যাটে-বলে অনেক বিখ্যাত তারকাদের জন্ম দিয়েছে এসব দ্বীপ।
ক্রিকেটের পাশাপাশি অন্য ইভেন্টে খুব একটা পিছিয়ে নেই তারা। স্প্রিন্টে তো নামজাদা অনেকেই আছেন ক্যারিবীয় অঞ্চলের এবং অন্য ইভেন্টের তারকারাও নিজেদের ট্র্যাকের বাইরে নিজের আগ্রহের কথা জানিয়েছেন। ‘জ্যামাইকান বিদ্যুৎ’ খ্যাত উসাইন বোল্ট যেমন ফুটবলের পাগল। তিনি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে খেলতে মরিয়া ছিলেন।
সম্প্রতি নিজের ট্র্যাক ছেড়ে ক্রিকেটে আগ্রহ দেখিয়েছেন জ্যামাইকার আরেক স্প্রিন্টার। তিনি ইয়োহান ব্লেক।
স্বদেশী উসাইন বোল্টের পর ব্লেকই বিশ্বের দ্বিতীয় দ্রুততম গতিমানব। বলেছেন, টোকিও অলিম্পিকের আগে ক্রিকেটটা খেলতে চান।
মুম্বাইতে একটি ইভেন্টের সময় নিজের ক্রিকেট প্রেমের কথা জানিয়েছেন ব্লেক। ‘রোড সেফটি টি-টুয়েন্টি ওয়ার্ল্ড সিরিজে’র প্রমোশনের জন্য ভারতে এসেছেন তিনি। শচীন টেন্ডুলকার, ব্রায়ান লারা, জন্টি রোডস এবং বীরেন্দ্র শেবাগদের মতো অবসরে যাওয়া লিজেন্ডারি ক্রিকেটাররা খেলবেন ওই টুর্নামেন্টে। সেখানেই জানান, ছোট বেলা থেকেই পেশাদার ক্রিকেট খেলার স্বপ্ন দেখেন তিনি।
আইপিএলের দুটি ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলার আগ্রহের কথা জানান ব্লেক। বিরাট কোহলির রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালোর (আরসিবি) ও শাহরুখ খানের মালিকাধীন কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) হয়ে খেলতে চান।
ব্লেকের কথায়, ‘ট্র্যাকে আমার আরও দুই বছর বাকি আছে। তাই একটু ক্রিকেট খেলতে চাই। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে খেলার ইচ্ছা আমার নেই। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে অংশ নিতে চাই, এমনকি ভারতের একটি ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকও হতে চাই। সবচেয়ে বড় কথা, কলকাতা নাইট রাইডার্স বা রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালোরের যেকোনো একটির হয়ে খেলতে চাই।’
আইপিএলের শুরু থেকেই আছেন জ্যামাইকার বিখ্যাত ক্রিকেটার ক্রিস গেইল। ‘ইউনিভার্স বসে’র কথা উল্লেখ করে ব্লেকের মন্তব্য, ‘দীর্ঘদিন ধরেই ক্রিস গেইল এখানে আছে। তবে আমি বেঙ্গালোরকে বিশেষভাবে ভালোবাসি বিরাট কোহলি ও এবি ডি’ভিলিয়ার্সের কারণে। সেইসঙ্গে কলকাতা দলটাকেও ভালোবাসি। গেইল দুটি দলের হয়েই খেলেছেন।’
২০১১ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ১০০ মিটারে সোনা জেতেন ব্লেক। সেটাই ছিল সবচেয়ে কমবয়সী কোনো স্প্রিন্টারের সোনা জয়ের রেকর্ড। ২০১২ অলিম্পিকেও পদক জেতেন তিনি। লন্ডনের ওই আসরে ১০০ ও ২০০ মিটারে ব্রোঞ্জ জিতেছেন।