চ্যানেল আই বিশ্বের কাছে উন্নত, সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের পতাকা তুলে ধরবে-এমন প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন দেশের বিশিষ্টজনেরা।
তারা জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নিরপেক্ষ অবস্থানে থেকে জনমত গঠনে অতীতের মতো বলিষ্ঠ ভূমিকা দেখতে চান চ্যানেল আইয়ের কাছে।
তাই কেবল উচ্ছ্বাসে সে ভেসে যাওয়া নয়, মানুষের ভালোবাসার প্রতিদান দিতে নিজেদের ছাড়িয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছে চ্যানেল আই।
‘হৃদয়ে বাংলাদেশ’ শ্লোগান ধারণ করে ২০ পেরিয়ে গর্বের একুশে চ্যানেল আই। জন্মদিনে দিনভর চ্যানেল আইকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। প্রতিবারের মতো দিন শেষে সন্ধ্যা ৭ টায় ২০ ফুট দীর্ঘ কেক কাটার মধ্য দিয়ে পূর্ণতা পায় দেশের প্রথম ডিজিটাল বাংলা চ্যানেল আইয়ের জন্মোৎসব।
এছাড়াও চ্যানেল আই সংবাদের ১৮ বছরপূর্তিতে কেক কাটা হয়।
জন্মদিনে চ্যানেল আইকে শুভেচ্ছা জানান রাষ্ট্রপতি মোঃ আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শুভেচ্ছা বাণীতে বলেন, সংবাদ পরিবেশনে বস্তুনিষ্ঠতা, নিরপেক্ষতার পাশাপাশি রুচিশীল ও শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান প্রচারের মাধ্যমে বাঙালি সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখবে চ্যানেল আই।
আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানাতে চ্যানেল আইয়ে হাজির হন দলটির সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর ও পরিচালক ও বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজের হাতে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান তিনি। পরে চ্যানেল আই কার্যালয়ে ঘুরে দেখেন ওবায়দুল কাদের। পরে তিনি জন্মদিনে চ্যানেল আইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সাফল্য কামনা করেন।
সন্ধ্যায় আতশ বাজির আলোরছটা উৎসবকে রাঙিয়ে দেয় বহুগুন। কে ছিলেন না ওই আয়োজনে? মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্য, রাজনীতিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও ব্যবসায়ী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, উন্নয়নকর্মী-সবাই।
স্বাধীনতাকে ধারণ করে দেশের উন্নয়নে চ্যানেল আইয়ের কাছে সাহসী ভূমিকা প্রত্যাশা করেন রাজনীতিবিদরা।
আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, জন্মদিনে চ্যানেল আইয়ের সাথে সম্পৃক্ত সকলকে-কলাকুশলী, শুভানুধ্যায়ী এবং যারা সাংবাদিক এত পরিশ্রম করে আমাদের সংবাদ সংগ্রহ করার জন্য তাদের সকলের প্রতি আমার প্রাণঢালা অভিনন্দন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, এদেশের স্বকীয় সংস্কৃতিকে দেশে বিদেশে তুলে ধরার ব্যাপারে এবং বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনায় চ্যানেল যেভাবে অতীতে ভূমিকা রেখেছে ভবিষ্যতেও তারা ধারাবহিকতা অব্যাহত রাখবে এই প্রত্যাশা করছি।
জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানাতে আসেন রুহুল আমিন হাওলাদার। তিনি বলেন, মানুষের আস্থা বেড়ে গেছে চ্যানেল আইয়ের উপরে। দিনের পর দিন সকল প্রতিকূল অবস্থার মধ্য দিয়ে সবসময় সকল সংকটে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে সত্যের জয়গান গায় চ্যানেল আই।
শুভেচ্ছা জানিয়ে অতীতের মতো এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশা সুধীজনের। চ্যানেল আইয়ের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরাও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
সবার আশা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখতে অতীতের মতোই দায়িত্বশীল থেকে হৃদয়ে বাংলাদেশকে ধারণ করে চ্যানেল আই তার কাজের মাধ্যমে গর্বিত করবে দেশকে।