সকল অশুভ, অকল্যাণ ও সাম্প্রদায়িকতামুক্ত বাংলাদেশের প্রত্যাশায় বন্দরনগরী চট্টগ্রামে বর্ণিল আয়োজনে পালিত হয় বাংলা বর্ষবরণ। নগরবাসীর আশা করছেন রাজনৈতিক সংঘাতমুক্ত হবে নতুন বছর, নির্বাচিত হবেন যোগ্য নগরপিতা।
তিন দশকের ঐতিহ্যের বৈশাখি আয়োজন করা হয় চট্টগ্রামের প্রাকৃতিক মঞ্চ ডিসি হিলে। সকাল থেকে নানান ধর্মের পেশার মানুষের পদ চারনায় মুখরিত হতে থাকে প্রঙ্গন। অনুষ্ঠানে আসা এক দর্শক চ্যানেল আইকে বলেন, আমি আশাকরি চট্টগ্রামেরমত সারাদেশে অস্প্রদায়িক চেতনায় পহেলা বৈশাখ উদযাপিত হবে। এই পহেলা বৈশাখ পালনের মাধ্যমে আমরা সারা দেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ছাড়িয়ে দিতে চাই।
সবার প্রত্যাশা তরুণ প্রজন্ম বাংলার ইতিহাস ঐতিহ্য সর্ম্পকে জানুক। এই আয়োজনে আসা এক দর্শক চ্যানেল আইকে বলেন, আমি প্রত্যাশা করি তরুণ প্রজন্ম বাংলার ইতিহাস ঐতিহ্য সর্ম্পকে জানুক। আর এই জানার মধ্যে দিয়ে এই বাংলার ঐতিহ্যকে সম্মৃদ্ধ করবে।
নতুন বৈশাখের প্রথম দিন সূর্যের সময় বাড়ার সাথে সাথে নান্দনিক সাজে উৎসবে যোগ দেয় নগরবাসী। ভৈরবী বাঁশির সুরের পর নতুন বর্ষ ১৪২২’র আবাহন সম্মিলিত কন্ঠে।
সেই সাথে আবৃত্তি গানে নৃত্যে অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে কল্যাণের বারতা।
জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে বন্দর নগরীর প্রধান মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয় সার্কিট হাউজ থেকে। নির্বাচনী আচরণবিধির কারণে সিটি নির্বাচনের প্রার্থীরা সতর্ক ভাবেই বৈশাখ উদযাপন করছেন। তবে শুধু শুভেচ্ছা বিনিময়ে কোনো বাধা ছিলো না নির্বাচন কমিশনের। আগামীর জন্য শুভ প্রত্যাশা থাকবে চট্টলাবাসীর জন্য এমনটি আশা সকলের।