করোনাভাইরাসের কারণে চলতি বছর বিশ্ব অর্থনীতি মন্দায় চলে যাবে আশঙ্কা প্রকাশ করে জাতিসংঘ বলেছে, এতে লাখ লাখ কোটি ডলার ক্ষতি হবে।
জাতিসংঘের সর্বশেষ এক বাণিজ্য প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারত ও চীন ছাড়া উন্নয়নশীল দেশগুলিতে চলতি বছর অর্থনৈতিক মন্দা গুরুতর আকার ধারণ করবে। উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য করোনাকালীন সংকটে ২.৫ ট্রিলিয়ন ডলারের সহায়তা তহবিল আহ্বান করছে জাতিসংঘ।
বাণিজ্য ও উন্নয়ন বিষয়ক ইউনাইটেড নেশনস কনফারেন্সের সেক্রেটারি জেনারেল মুখিজা কিতুয়ী বলেন, ২০০৮ সালে বিশ্বব্যাপী যে আর্থিক সঙ্কট তৈরি হয়েছিল; ঠিক একই গতিতে করোনা মহামারী উন্নয়নশীল দেশগুলোতে আঘাত করছে।
তিনি বলেন, উন্নয়নশীল দেশগুলিতে কোভিড-১৯ য়ের ধাক্কায় অর্থনৈতিক মন্দা অব্যাহত রয়েছে এবং এর আঘাত কোন পর্যায়ে পৌঁছাবে সেটার ভবিষ্যদ্বাণী করা কঠিন। তবে এটা বলা যায়, উন্নতদেশগুলোর অর্থনীতি উন্নত হওয়ার আগে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে উঠবে।
মুখিজা কিতুয়ী আরও বলেন, আমাদের এক গবেষণায় উঠে এসেছে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে আগামী দুই-তিন বছরে ২ থেকে ৩ ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনৈতিক ঘাটতি থাকবে।
ভয়াবহ পরিণাম তুলে ধরছে বিশ্বব্যাংক
করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট মহামারী বিশ্ব অর্থনীতিতে মারাত্মক প্রভাব ফেলবে জানিয়ে বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর প্রায় ২৪ মিলিয়ন (দুই কোটি ৪০ লাখ) মানুষ করোনার কারণে অর্থনৈতিক মন্দা কবলে পড়বে। তারা দরিদ্র হয়ে যাবে।
মহামারীর প্রভাব নিয়ে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, এমনকি পরিস্থিতি যদি সবচেয়ে ভালোও হয়, তাহলেও এই অঞ্চলে প্রবৃদ্ধি ব্যাপক হারে কমবে।
বিশ্ব ব্যাংক বলেছে, করোনাভাইরাসের কারণে অর্থনীতির ওপর যে প্রভাব পড়েছে, এতে করে সব দেশই তাৎপর্যপূর্ণভাবে আক্রান্ত হবে।যেসব পরিবারের জীবিকা শিল্প-কারখানার ওপর নির্ভরশীল, তারা চরম ঝুঁকিতে রয়েছে।
বিশ্ব ব্যাংকের আশঙ্কা, বিশ্বের প্রায় ৩৫ মিলিয়ন (সাড়ে তিন কোটি) মানুষ দরিদ্রতায় পতিত হবে। চীনে এ সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াবে ২৫ মিলিয়নে।
পূর্ব এশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে গভীর অর্থনৈতিক সংকটের পূর্বাভাষ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক৷ চরম বেকারত্ব, দারিদ্র্য, মন্দার মতো নেতিবাচক প্রভাব দেখা দিতে পারে৷ জি-টোয়েন্টি গোষ্ঠী সহযোগিতার অঙ্গীকার করেছে৷