রাম মন্দির থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে মসজিদ নির্মাণের জন্য অযোধ্যার ধানিপুর গ্রামে লক্ষ্ণৌ মহাসড়কের পাশে জমি বরাদ্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উত্তর প্রদেশের মন্ত্রী শ্রীকান্ত শর্মা।
দেশটির সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অনুসারে অযোধ্যা মসজিদ নির্মাণের জন্য ওই জায়গাটি বরাদ্দ দিয়েছে উত্তর প্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকার। মসজিদের জন্য বরাদ্দকৃত ওই জমিটি জেলা শহর থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে।
নভেম্বরে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট তাদের ঐতিহাসিক রায়ে জানায়, অযোধ্যার বাবরি মসজিদ-রাম মন্দিরের ওই জায়গাটির জন্য হিন্দু ও মুসলিম উভয়ই মালিকানার দাবি করলেও জায়গাটি শিশু রামের জন্মভূমি বলে আদেশ দেয়। এছাড়াও যে জায়গাটিতে বাবরি মসজিদ ভাঙা হয়েছিল সেখানে মন্দির নির্মাণের জন্য সরকারকে একটি ট্রাস্ট গঠনের নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত।
হিন্দু আন্দোলনকারীদের দাবি, রামের জন্মভূমির জন্য সেখানে যে প্রাচীণ মন্দির ছিল, সেটি ভেঙে মসজিদ তৈরি করা হয়েছে।
পরে অন্য জায়গায় বাবরি মসজিদ নির্মাণের জন্য সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে পাঁচ একর জমি দিতে নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
দেশটির সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি জানায়, উত্তর প্রদেশের ওই মন্ত্রী জানায় বোর্ডকে মসজিদ নির্মাণের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে তিনটি অপশন দেয়া হয়। তারা এই জায়গাটি পছন্দ করলে মন্ত্রী পরিষদ তা অনুমোদন দেয়।
এদিকে আজ সকালে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী এবার অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের জন্যে ট্রাস্টের ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
বুধবার লোকসভায় প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ‘আমার সরকার শ্রী রামজন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র নামে একটি ট্রাস্ট স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এই ট্রাস্ট নতুন করে রাম মন্দির নির্মাণ ও এর সঙ্গে সম্পর্কিত সমস্ত বিষয়ে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নেবে। আসুন আমরা সকলেই অযোধ্যায় এই রাম মন্দির নির্মাণকে সমর্থন জানাই।
১৯৯২ সালে ষোড়শ শতাব্দীর বাবরি মসজিদটি ধ্বংস করে দেওয়া হয়, তারপর থেকে দীর্ঘদিন চলে রাম মন্দির-বাবরি মসজিদ সমস্যা। সেই সমস্যার সমাধানে গত বছরের নভেম্বরে সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ রায় দেয় যে ২.৭৭ একর বিতর্কিত জমিটি মন্দির নির্মাণের জন্য সরকার পরিচালিত ট্রাস্টকে দেওয়া হবে, এবং এই শহরেই একটি “উপযুক্ত” জায়গায় পাঁচ একর জমি মসজিদ তৈরির জন্যে দেওয়া হবে মুসলিমদের। রাম মন্দির নির্মাণ সংক্রান্ত ট্রাস্ট গঠনের জন্যে সেই সময় সরকারকে তিন মাসের সময়সীমা দেয় সুপ্রিম কোর্ট।