চুয়াডাঙ্গায় চাষ হচ্ছে অমৌসুমী তরমুজ। বাজারে সরবরাহ কম থাকায় চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ওই তরমুজ।
চুয়াডাঙ্গার মাঠে মাঠে মাচায় ঝুলছে শত শত তরমুজ। প্রতিটি তরমুজের ওজন ২ থেকে সাড়ে ৩ কেজি। বীজ বপণের ৪০ দিনের মাথায় ফুল থেকে ফল আসে। ফল ধরার ৩০-৩৫ দিনের মাথায় পাওয়া যায় খাওয়ার উপযোগী তরমুজ।
তাইওয়ানের হাইব্রিড জাতের তরমুজ ব্লাক বেবি ও জেসমিন শীতকাল বাদে আবাদ করা যায় সারা বছর। কৃষকেরা বলছেন, এই জাতের তরমুজ অমৌসুমী হওয়ায় বাজারে ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছে। অন্য ফসলের থেকে লাভও বেশি।
এই তরমুজ চাষে কীটনাশক তেমন একটা লাগে না। পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে যথেষ্ট কাজ করে ফেরোমেন ট্যাবলেট। কৃষি বিভাগ বলছে, এই কারণেই অমৌসুমী তরমুজ চাষে ঝুঁকছেন কৃষক।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হামিদুর রহমান বলেন, অমৌসুমী তরমুজ চাষ করে অন্য ফসলের তুলনায় আর্থিকভাবে বেশি লাভবান হচ্ছেন কৃষক। তাছাড়া খুব একটা রোগ-বালাইয়ের আক্রমণও ঘটেনা। তাই কৃষকরাও দিন দিন তরমুজ চাষের দিকে ঝুঁকছে।