অভিধান থেকে মুছে যাক ‘ধর্ষণ’ শব্দটি

দেশব্যাপী চলমান ধর্ষণের প্রতিবাদ জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। অভিধান থেকে ‘ধর্ষণ’ শব্দটি মুছে যাক এই স্লোগানে বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবনের সামনে মানববন্ধন থেকে তারা এ প্রতিবাদ জানান।

মানববন্ধনে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. প্রদীপ কুমার পান্ডে বলেন, ধর্ষণের প্রধান কারণ হচ্ছে নৈতিক অবক্ষয়। আজকের এ নৈতিক অবক্ষয় পরম্পরায় চলছে। আর দীর্ঘ সময় বিচারহীনতার সংস্কৃতির ফলে শিশু থেকে বয়স্ক নারীকেও ধর্ষণের শিকার হতে হচ্ছে। যদি আজ থেকে ১৫/২০ বছর আগে দেখা শুরু হতো দোষীরা বিচারের আওতায় আসছে কিনা? তাদের শাস্তি হচ্ছে কিনা? রাষ্ট্র যদি তা নিশ্চিত করতো তাহলে আজকের এ নৈতিক অবক্ষয় দেখতে হতো না।

বক্তারা আরও বলেন, রাষ্ট্র্র-পুলিশের কাছে দাবি করে এ বিষয়ে খুব একটা উপকার পাওয়া যাবে বলে মনে হয় না, রাষ্ট্র রাষ্ট্রের কাজ করবে, দোষীদের আইনের আওতায় আনার প্রক্রিয়াগুলো পূরণ করবে। কিন্তু এ থেকে মুক্তি পেতে আমাদেরকে আগে সোচ্চার হতে হবে, আমাদের মানবিক মূল্যবোধ যতক্ষণ পর্যন্ত জাগ্রত না হচ্ছে, পশুত্ব দূর না হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত রাষ্ট্র ও পুলিশ ধর্ষণ বন্ধ করতে পারবে না। 

বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী আলী ইউনুস হৃদয়ের সঞ্চালনায় এসময় আরও বক্তব্য দেন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মশিহুর রহমান, মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মোল্লাহ মোহাম্মদ সাঈদ। মানববন্ধনে সহযোগী অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ বকুল, ড. মাহাবুবুর রহমান, নাজিয়াত হোসেন চৌধুরী, সহকারী অধ্যাপক দিল আফরোজা খাতুন, মাহাবুর রহমান ও আমেনা খাতুনসহ বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।

ধর্ষণধর্ষণের প্রতিবাদমানববন্ধনরাবি