অব্যাহত থাকুক সমৃদ্ধি ও উন্নয়ন

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভূমিধস বিজয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। তারা একক সংখ্যাগরিষ্ঠতাসহ ২৫৯টি আসন নিয়ে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে দলটি। তাদের শরিক দলগুলো পেয়েছে ৩৪টি আসন। বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে রেকর্ড গড়ে টানা তৃতীয়বারের মত সরকার গঠন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ।

এমন বিজয়ের জন্য আওয়ামী লীগকে অভিনন্দন। স্বাধীনতা ও মুক্তিযোদ্ধার নেতৃত্বদানকারী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গত এক দশক বাংলাদেশের ক্ষমতায় রয়েছে। এই সময়ে তাদের রয়েছে অনেক উল্লেখযোগ্য অর্জন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচারসহ বেশ কয়েকটি অসমাপ্ত কাজ সমাধান করেছে তারা। এরপর বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে বিশ্বের দরবারে সম্মানের সঙ্গে তুলে ধরেছে তাদের যাবতীয় উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে।

বাংলাদেশ এখন একটি নতুন সম্ভাবনার দেশ। এই সম্ভাবনার দেশ হিসেবে বিশ্বের মানচিত্রে মেরুদণ্ড সোজা করে দাঁড়ানোর কাজটি অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে করেছে এই সরকার। সরকারের সবচেয়ে বড় অবদান দেশকে একটি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার মধ্যে রাখা। অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। দ্রুত বর্ধনশীল উৎপাদন খাতের জন্য, চীনেও বাংলাদেশের গার্মেন্টস সেক্টর দ্বিতীয় অবস্থানে। গত প্রায় দশকব্যাপী বাংলাদেশে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশের বেশি রয়েছে। গত জুনে যেটা ৭.৮৬ শতাংশে পৌঁছে গেছে।

আওয়ামী লীগ আবারো ক্ষমতায় আসায় দেশের এই অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা অব্যাহত হবে বলে আশা করি। সরকারের এই সাফল্যের পাশাপাশি ব্যর্থতার চিত্রও আছে। ব্যাংক খাতে সীমাহীন দুর্নীতি হয়েছে, যা সাধারণ মানুষ মেনে নিতে পারেনি। আমরা চাই নতুন সরকারে নতুন উদ্যোগ হোক দেশের দুর্নীতি দমন।

আমরা বলতে চাই, এই সরকারকে মৌলবাদ-জঙ্গিবাদকে কঠোরভাবে দমন করতে হবে। যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতি করার অধিকার রদ করতে হবে। জনজীবন বিঘ্নিত হয় এরকম কোনো সন্ত্রাসী কার্যক্রমকে কঠোর হাতে দমন করে জনমনে স্বস্তি শান্তি বজায় রাখতে হবে।

দেশের জনগণ কোনোমতেই একটি অস্থিস্তিশীল পরিস্থিতির দিকে যেতে চায় না। নতুন সরকারকে জনগণের প্রত্যাশা মাথায় রেখে নতুন কর্মপদ্ধতিতে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। আমাদের প্রত্যাশা, নতুন সরকার বিগত দিনের ভুলত্রুটি থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশকে আরো সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যাবে। আমাদের চাওয়া দেশ এগিয়ে যাক, মানুষ শান্তিতে থাকুক।

নতুন সরকারবাংলাদেশ আওয়ামী লীগশেখ হাসিনা