খালেদা জিয়া প্যারোলে মুক্তির আবেদন করতে পারেন, যদি…

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন: বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া নিজের অপরাধ স্বীকার করার পরেই কেবল প্যারোলে মুক্তির জন্য আবেদন করতে পারেন।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে সরকারী শারীরিক শিক্ষা কলেজ ময়দানে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠানে যোগদানের পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন: যদি তিনি (খালেদা জিয়া) তাঁর অপরাধ স্বীকার করে প্যারোলে মুক্তির আবেদন করেন তাহলেই সরকার কেবল তার প্যারোল বিবেচনা করতে পারে।

অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের কর্মচারীদের জন্য এই বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

তথ্যমন্ত্রী বলেন: খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়ার কোন কর্তৃত্ব সরকারের নেই। যদি সরকার এই কতৃত্ব খাটাতে চায়, তাহলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব নিতে হবে, যা সংবিধান অনুমোদন দেয় না।

খালেদা জিয়া একমাত্র আইনি পদ্ধতিতেই জেল থেকে মুক্তি পেতে পারেন, একথা পুনর্ব্যক্ত করে তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন: আন্দোলন অথবা রাস্তায় প্রচারণা চালিয়ে বিএনপি নেত্রীর মুক্তির কোন পথ নেই। তার জেল থেকে মুক্তির একমাত্র পথ হতে পারে আইনি ব্যবস্থা।

মন্ত্রী বলেন: বিএনপি প্রধান দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত হয়ে জেলে আছেন এবং আদালতই কেবল তাকে মুক্তি দিতে পারে।

বেগম জিয়ার মুক্তির ব্যাপারে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের মধ্যে ফোনালাপ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন: তারা (বিএনপি) কী চায় তারা তা জানে না। এক সময় তারা বলে খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আন্দোলনে যাবে, অন্যদিকে তার মুক্তির জন্য আমাদের সাধারণ সম্পাদককে ফোন দেয়।’  তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে প্যারোলের কোনো আবেদন করা হয়নি। তার পরিবারের বরাত দিয়ে এক ধরনের কথা, আবার দলের পক্ষ থেকে আরেক ধরনের কথা বলা হচ্ছে। তারা আসলে কি চান, সেটা এখনো তারা স্পষ্ট করতে পারেননি।

অনুষ্ঠানে অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. জাবেদ বখত, ব্যাংকের পরিচালক কেএমএন মনজুরুল হক লাবলুসহ ব্যাংকের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

খালেদা জিয়াড. হাছান মাহমুদতথ্যমন্ত্রীপ্যারোল