বাংলাদেশের প্রবন্ধ, গবেষণা ও কথাসাহিত্যে বিশেষ অবদান রাখার জন্য ‘অনন্যা সাহিত্যপুরস্কার-১৪২৫’ পাচ্ছেন লেখক-গবেষক ড. আকিমুন রহমান। গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি এমনটাই জানিয়েছে অনন্যা কর্তৃপক্ষ।
৫ জানুয়ারি বিকাল ৪টায় বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে আকিমুন রহমানের হাতে তুলে দেয়া হবে অনন্যা সাহিত্যপুরস্কার-১৪২৫। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন কবি আসাদ চৌধুরী ও বিশেষ অতিথি থাকবেন প্রাবন্ধিক অধ্যাপক বেগম আকতার কামাল। সভাপতিত্ব করবেন অনন্যা সম্পাদক তাসমিমা হোসেন।
ড. আকিমুন রহমানের জন্ম নারায়ণগঞ্জে, ১৯৬০ সালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে পিএইচডি করেছেন বহুমাত্রিক লেখক ড. হুমায়ুন আজাদের তত্ত্বাবধানে। গবেষণাপত্রটি ‘আধুনিক বাংলা উপন্যাসে বাস্তবতার স্বরূপ (১৯২০-’৫০)’ নামে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় বাংলা একাডেমি থেকে।
তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থসমূহের মধ্যে রয়েছে : বিবি থেকে বেগম, আধুনিক বাংলা উপন্যাসে বাস্তবতার স্বরূপ, সোনার খড়কুটো, পুরুষের পৃথিবীতে এক মেয়ে, রক্তপুঁজে গেঁথে যাওযা মাছি, এইসব নিভৃত কুহক, জীবনের পুরোনো বৃত্তান্ত, নিরন্তর পুরুষ ভাবনা, পৌরাণিক পুরুষ, বাংলা সাহিত্যে বাস্তবতার দলিল (১৩১৮-১৩৫০ বঙ্গাব্দ), সাক্ষী কেবল চৈত্রমাসের দিন আদিপর্ব, যখন ঘাসেরা আমার বড়, অচীন আলোকুমার ও নগণ্য মানবী ইত্যাদি। লেখালেখির পাশাপাশি বর্তমানে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে অধ্যাপনারত।
বাংলা ১৪০১ সন (১৯৯৩ সাল) থেকে অনন্যা সাহিত্যপুরস্কার প্রবর্তন করা হয়েছে। প্রতিবছর একজন নারী-সাহিত্যিককে সাহিত্যে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এ পুরস্কার প্রদান করা হয়।
এপর্যন্ত যারা এই পুরস্কার পেয়েছেন, তারা হলেন: সেলিনা হোসেন, রিজিয়া রহমান, নীলিমা ইব্রাহিম, দিলারা হাশেম, রাবেয়া খাতুন, সন্জীদা খাতুন, শহিদ জননী জাহানারা ইমাম (মরণোত্তর), নূরজাহান বেগম, রাজিয়া খান, রুবী রহমান, পূরবী বসু, আনোয়ারা সৈয়দ হক, মকবুলা মনজুর, ঝর্ণাদাশ পুরকায়স্থ, সালেহা চৌধুরী, নূরজাহান বোস, মালেকা বেগম, কাজী রোজী, নিয়াজ জামান, জাহানারা নওশিন, সোনিয়া নিশাত আমিন, বেগম আকতার কামাল ও বেগম মুশতারী শফি।