ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হওয়ার পরে আটকে পড়া ট্রেনটি চলে গেলেও অতিরিক্ত যাত্রী ও ক্ষতিগ্রস্ত লাইনের কারণে সমস্যায় পড়েছে বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে চলাচলকারী বিভিন্ন ট্রেন। সুন্দরবন এক্সপ্রেসের বগি লাইনচ্যুত হয়ে ৫০ মিটার রেলনাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
রেল কর্তৃপক্ষ সূত্রে এ খবর জানা গেছে।
এরআগে টাঙ্গাইলে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপ্রান্তে সুন্দরবন এক্সপ্রেসের বগি লাইনচ্যুত হয়ে প্রায় সোয়া তিন ঘণ্টা আটকে থাকে দুই পাশের ট্রেন। লাইনচ্যুত বগি উদ্ধার হওয়ার পর সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি তার গন্তব্যে যাত্রা শুরু করে। লাইন সাময়িকভাবে মেরামত করলেও তা পূর্ণশক্তিতে সব ট্রেন চলাচলের উপযোগী না হওয়ায় আবার বন্ধ থাকে ট্রেন চলাচল। পরে বিশেষ ব্যবস্থায় আটকে থাকা ধুমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনটি ছেড়ে যায়।
কিন্তু শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত একই ব্যবস্থায় বনলতা ও একতা এক্সপ্রেস পারাপারের চেষ্টা চলছে। এছাড়া বঙ্গবন্ধু সেতুর দুইপাশে নিকটবর্তী স্টেশনগুলোতে আরো কয়েকটি ট্রেন আটকে আছে বলেও জানা গেছে।
ফেসবুকে বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভিন্ন ফ্যান পেজগুলোতে বিভিন্ন ট্রেনের বিলম্বের খবর ও যাত্রীদের ভোগান্তির চিত্র তুলে ধরেন যাত্রীরা। বঙ্গবন্ধু সেতুতে নতুন করে দেখা দেয়া সমস্যার কারণের ঢাকা থেকে সেতু হয়ে যাওয়া বিভিন্ন ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় দেখা দিয়েছে এবং দুই ঘণ্টা থেকে শুরু করে ছয় ঘন্টা পর্যন্ত বিলম্বের শঙ্কার কথা জানান যাত্রীরা।
শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা থেকে খুলনাগামী এ ট্রেনটির ছ নাম্বার বগির বা পাশের দু’টি চাকা লাইনচ্যুত হয়। বগি লাইচ্যুত হওয়ার কারণে উত্তরাঞ্চল ও খুলনা অঞ্চলের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এতে ঈদ উপলক্ষে বাড়ি যাওয়া যাত্রীরা পড়ে যায় চরম দুর্ভোগে।