ম্যাথু হেইডেন খুব কাছে গিয়েছিলেন, পারেননি। রোহিত শর্মা, ডেভিড ওয়ার্নাররাও ছাড়িয়ে যাওয়ার পথে ছিলেন। তবে সেমিতে ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার বিদায়ে তারাও পারছেন না। এক বিশ্বকাপে শচীন টেন্ডুলকারের করা সর্বোচ্চ রানের বিশ্বরেকর্ডটা তাই অক্ষতই থেকে যেতে পারে কমপক্ষে আরও চার বছরের জন্য।
২০০৩ বিশ্বকাপে ১১ ম্যাচে একটি সেঞ্চুরি ও ছয়টি হাফসেঞ্চুরিতে ৬৭৩ রান করেছিলেন শচীন। সেটা এখন পর্যন্ত এক আসরে সর্বোচ্চ সংগ্রহের রেকর্ড।
২০০৭ বিশ্বকাপে অল্পের জন্য ভারত কিংবদন্তিকে ছুঁতে পারেননি হেইডেন। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ওপেনার সে আসরে করেছিলেন ৬৫৯ রান। ফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩৮ রানে আউট হয়ে যাওয়ায় শচীনের চেয়ে ১৪ রানে দূরে থেমে যান ম্যাথু।
চলতি বিশ্বকাপে পাঁচটি সেঞ্চুরি করে এক আসরে সর্বোচ্চ শতকের বিশ্বরেকর্ড গড়া রোহিতের সামনে সুযোগ ছিল স্বদেশী মহাতারকাকে পেছনে ফেলে ইতিহাস গড়ার। সেমিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাত্র ১ রান করে আউট হয়ে সেই সুযোগ হাতছাড়া করেছেন ভারতীয় ওপেনার। এবারের বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ৯ ম্যাচে সর্বোচ্চ ৬৪৮ রান হিটম্যান রোহিতেরই।
পরেই আছেন ওয়ার্নার। অজি ওপেনারও শচীনকে ছাড়িয়ে যাওয়ার পথেই ছিলেন। রোহিতের মতোই সেমিতে রান না পাওয়ায় রেকর্ড গড়তে পারেননি। ১০ ম্যাচে ৬৪৭ রান করে চলতি আসরে এখন পর্যন্ত টেবিলের দ্বিতীয় সেরা সংগ্রাহক ওয়ার্নার। তিনে ৮ ম্যাচে ৬০৬ রান করা বাংলাদেশের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। এই তিনের বিশ্বকাপ শেষ হয়ে গেছে।
বিশ্বকাপে এবার ফাইনাল খেলবে ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড। দুদলের কয়েকজনের সুযোগ আছে শচীনকে তাড়া করার। জো রুট, কেন উইলিয়ামসন ও জনি বেয়ারস্টোর সামনে এখনও সুযোগ রয়েছে শচীনকে পেছনে ফেলে বিশ্বরেকর্ড গড়ার। তবে সেটি করতে হলে ফাইনালে অবিশ্বাস্য কিছুই করে দেখাতে হবে তাদের।
চলতি আসরে এখন পর্যন্ত রুটের সংগ্রহ ৫৪৯ রান, আছেন টেবিলের চারে। পাঁচে থাকা কেন উইলিয়ামসনের রান ৫৪৮। আর সাতে থাকা বেয়ারস্টোর নামের পাশে ৪৯৬ রান। শচীনকে পেছনে ফেলতে রুটের দরকার ১২৫, উইলিয়ামসনের প্রয়োজন ১২৬ রানের। আর বেয়ারস্টোর লাগবে ১৭৮ রান।