সিঙ্গেল ডিজিট (এক অংক) সুদে ঋণ দেওয়ার ব্যাপারে ব্যাংকগুলোকে যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে তা মেনে চলতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার বেলা ৩টার দিকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংবাদ সম্মেলনের প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সবসময় চেষ্টা করেছি, যাতে সুদটা সিঙ্গেল ডিজিটে থাকে। এ জন্য ব্যাংকগুলোকে সুবিধাও দিয়েছি। কিন্তু অনেক বেসরকারি ব্যাংক সেটা মানেনি। এবার বাজেটে নির্দেশনা দেওয়া আছে—এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে যাওয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘ব্যাংকগুলোকে নিয়ম মেনে চলতে হবে। ঋণের সুদ যেন ডাবল ডিজিটে না হয়। তাহলে আমাদের বিনিয়োগ বাড়বে। আর চক্রবৃদ্ধি আকরে সুদ হতে থাকলে মানুষ আর ব্যবসা করতে পারবে না। এদিকটাতে আমরা বিশেষভাবে ব্যবস্থা নিচ্ছি। অনেক আইন আমরা সংশোধন করবো; সে ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
এর আগে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ব্যাংক কোম্পানি আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনাসহ ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়াআর্থিক খাত ও শেয়ার বাজার সংস্কার একান্তভাবে জরুরি বলে জানিয়েছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আর্থিক খাতের সংস্কারের অংশ হিসেবে একটি গতিশীল বন্ড, ট্রেজারী বিল ইত্যাদি ব্যবহারে উৎসাহীত করবো।
এছাড়া আরো যেসব সংস্কার করা হবে সেগুলো হচ্ছে-পর্যায়ক্রমে মূলধন ও পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ বাড়ানো হবে। ব্যাংক কোম্পানি আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনা হবে।
এছাড়া যেসকল ঋণ গ্রহিতা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছেন পরিশোধ না করার জন্য ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপি যারা তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের অসুস্থতায় প্রথমবারের মতো বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিগত বছরগুলোতে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলন ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে হলেও এবারই প্রথম রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিকেল ৩টায় সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়।
সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ: সময় এখন আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের’ শিরোনামে ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য ‘স্মার্ট’ বাজেট পেশ হয়। নতুন অর্থবছরে বাজেটের প্রস্তাবিত আকার ধরা হয়েছে ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা।
বিজ্ঞাপন