শততম ওয়ানডে ম্যাচের প্রহর গুনছে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়াম। ইতিহাসের দরজায় দাঁড়িয়ে হ্যামিল্টন মাসাকাদজা নিজেকে ‘ভাগ্যবান’ বলছেন। আর ‘স্মৃতিকাতর’ অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ সামনে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা খুঁজছেন।
মাইলফলকের ম্যাচের আগে জিম্বাবুয়ের অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মাসাকাদজা বললেন, ‘ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হতে পারব ভেবে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি। প্রথম ম্যাচটি আমি এখানে খেলেছিলাম। তাই এটা আমার জন্য বিরাট ব্যাপার।’
২০০৬ সালের ৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক যাত্রা শুরু করেছিল মিরপুরের এই স্টেডিয়ামটি। সেই ম্যাচে ৮ উইকেটের বড় জয় পায় বাংলাদেশ। সেদিনও মাঠে ছিলেন মাসাকাদজা। বুধবারের শততম ওয়ানডে ম্যাচেও তিনি থাকবেন। তবে প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ নয়, শ্রীলঙ্কা।
১৫ জানুয়ারি বাংলাদেশসহ এই দুই দল নিয়ে শুরু হয়েছে ত্রিদেশীয় সিরিজ। প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৮ উইকেটের জয় পায় বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টের সবকটি ম্যাচ হবে এই মিরপুরে। ১৭ জানুয়ারি বিশ্বের ষষ্ট ভেন্যু হিসেবে একশ ওয়ানডে ম্যাচ আয়োজনের কীর্তিতে নাম লেখাবে ভেন্যুটি।
শ্রীলঙ্কা দলের অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজেরও এই মাঠে রয়েছে দারুণ স্মৃতি। এখানেই তারা জিতেছিলেন ২০১৪ সালের টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ। ঐতিহাসিক ম্যাচ খেলতে নামার আগে স্মৃতিচারণ করলেন তিনি, ‘এ মাঠে আমাদের অনেক সুখকর স্মৃতি আছে। বিশেষ করে ২০১৪ সালের কথা যদি বলি। এখন ভেন্যুটি ইতিহাসে নাম লেখাতে যাচ্ছে। আমরা নতুন করে শুরু করতে চাই। এই দলটা এখন ভিন্ন। এখানকার দারুণ স্মৃতি নিয়ে আমরা সামনের দিকে তাকাতে চাই।’
একশতম ওয়ানডে ম্যাচ আয়োজন করতে স্টেডিয়ামটির সময় লাগছে ১১ বছর। যা বিশ্বের অন্য একশ ছোঁয়া স্টেডিয়ামগুলোর থেকে সবচেয়ে কম সময়ের রেকর্ড।
দেশের মূল ক্রিকেট ভেন্যু শের-ই-বাংলায় এখন পর্যন্ত ৯৯টি ওয়ানডের মধ্যে বাংলাদেশ খেলেছে ৮৪ ম্যাচ। জয় ৪০টিতে।
অনেক গৌরবের সাক্ষী স্টেডিয়ামটি। ২০১০ সালে ‘বাংলাওয়াশ’ নামে খ্যাতি পাওয়া সিরিজে নিউজিল্যান্ডকে ৪-০তে হারানো, ২০১২ সালে এশিয়া কাপের ফাইনালে খেলা। পরবর্তীতে পাকিস্তান, ভারত, সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে টানা তিনটি ওয়ানডে সিরিজ জয়ের কীর্তি। এ মাঠে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে টেস্ট জয়ের স্মৃতিও তরতাজা।
বিজ্ঞাপন