ভাষার মাসের ইতিহাস ও গুরুত্ব তুলে ধরতে শুক্রবার বিপিএলের ম্যাচে দেশি-বিদেশি খেলোয়াড়রা বাংলা বর্ণমালা লেখা বিশেষ বাহুবন্ধনী পরে নেমেছিলেন। সতীর্থদের মতো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের পাকিস্তানি ক্রিকেটার মোহাম্মদ রিজওয়ানের বাহুতেও দেখা যায় বর্ণমালা। জায়ান্টস্ক্রিনে ভেসে ওঠে নানান বাংলা শব্দ। দিনটি হয়ে ওঠে বাংলাময়। তবে কেনো এই আয়োজন, সেটি সম্পর্কে ধারণা নেই রিজওয়ানের।
শুক্রবার মিরপুরে রংপুর রাইডার্সকে ৭০ রানে হারিয়ে কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত করেছে কুমিল্লা। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে রিজওয়ান বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে আমার ধারণা নেই। সবাই বাহুবন্ধনী নিয়ে নেমেছেন, আমিও তাই। জানি যে আজ ছুটির দিন। তবে কেনো এই আয়োজন সেটি সম্পর্কে আমার ধারণা নেই।’
ভাষার মাসের কথা জানানো হলে রিজওয়ান বললেন, ‘সবার প্রতি আমার শ্রদ্ধা রয়েছে। আমিও টুকটাক বাংলা শেখার চেষ্টা করেছি এখানে এসে।’
কার্টলি অ্যামব্রোস, আমির সোহেলদের গায়েও ছিল কালো পাঞ্জাবি। তাতেও দেখা যায় বাংলা বর্ণমালা। বিপিএলের সব দেশি-বিদেশি ধারাভাষ্যকার, উপস্থাপকরা মিলে ফটোসেশনে অংশ নেন। শ্রদ্ধা জানান ভাষা সৈনিকদের।
একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ভাষা শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সর্বস্তরের মানুষ। সেই দিনটি আসার আগেই শেষ হয়ে যাবে বিপিএলের নবম আসর। টুর্নামেন্টের ফাইনাল ১৬ ফেব্রুয়ারি।
শুক্রবার তাই মিরপুরে কুমিল্লা ও রংপুরের ম্যাচে ভাষা শহীদদের স্মরণ করেন সবাই। ইংরেজিতে ধারাভাষ্য দিলেও মাঝে মধ্যেই বাংলা ভাষার তারা বললেন রান, ওভার, উইকেট সংখ্যা। বিসিবি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আগেরদিনই জানায় আয়োজন সম্পর্কে।
টানা তিন ম্যাচ হারের পর কুমিল্লায় যোগ দেন রিজওয়ান। তার ধারাবাহিক পারফরম্যান্সে টানা নয় ম্যাচ জেতে দলটি। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা এবারও শিরোপার দাবিদার হয়ে উঠেছে।
তবে প্লে-অফে রিজওয়ানকে পাচ্ছে না কুমিল্লা। তিনি রাতেই ফিরে যাবেন দেশে। যোগ দেবেন পাকিস্তান সুপার লিগে (বিএসএল)। রিজওয়ানের জায়গায় মঈন আলীকে আনছে কুমিল্লা। রাতে ঢাকা এসে পৌঁছাবেন ইংলিশ স্পিনিং অলরাউন্ডার।
বিজ্ঞাপন