দেশের পুঁজিবাজার কোন পথে?

দেশের পুঁজিবাজারে ক্রমাগত দরপতন হচ্ছেই। এতে আবারও অস্থির পুঁজিবাজার। বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ, বাংলাদেশ ব্যাংকের অযৌক্তিক নীতি আর দুষ্টচক্রের কারণে এই পরিস্থিতি। তবে বাজেট ঘোষণা হলে বাজারের উন্নতি হবে বলে মনে করে কর্তৃপক্ষ।

চ্যানেল আইয়ের প্রতিবেদনে জানা যায়, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে বুধবারও লেনদেনে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা গেছে। আগের কার্যদিবসের চেয়ে ডিএসইএক্স সূচক ২৩ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ১শ ৮৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। কমেছে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

প্রতিবেদনে বলা হয়, হাতবদল হয়েছে ৩শ’ ৭৫টি কোম্পানির ৫শ’ ১৩ কোটি ১১ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড। যা আগের কার্যদিবসের চেয়ে ১শ’ ৪৭ কোটি ৭৩ লাখ টাকা কম। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৭৬টির, কমেছে ২শ’ ৫০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

চ্যানেল আইয়ের আরেক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্ববাজারে অস্থিরতা আর ডলারের দাম বাড়ার কারণে পুঁজিবাজারে দরপতন শুরু হয়। এতে সর্বশান্ত হয়ে হতাশ বিনিয়োগকারীরা। সূচক এমন পর্যায়ে এসেছে যে, ফোর্স সেলের মুখোমুখি হয়েছেন অনেকে। নানা গুজব আর কুচক্রি মহলের কারসাজির কারণে এই অবস্থা বলে অভিযোগ বিনিয়োগকারীদের।

এমন অবস্থায় পুঁজিবাজারে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারি আরও বাড়াতে হবে বলে আমরা মনে করি। কোনো কুচক্রি মহল যেন বিগত দিনের মতো বাজার অস্থির করে কোনো ধরনের সুবিধা নিতে না পারে। একইসাথে বাজারে কোনো ধরনের গুজবও যেন ছড়াতে না পারে সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অন্যদিকে কোনো ধরনের হুজুগে না মেতে বিনিয়োগকারী যেনো জেনে বুঝে পুঁজিবাজারে আসে, সে বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে এবং পুঁজিবাজারের চরিত্র বুঝে দীর্ঘসময় বিনিয়োগ ধরে রাখার পরিবেশ তৈরিতে কর্তৃপক্ষকে সচেষ্ট হতে হবে।

বিজ্ঞাপন

দরপতনপুঁজিবাজারশেয়ারশেয়ারবাজারসম্পাদকীয়